মোবাইল ফোনে সম্পর্ক করে প্রেমিকের বিয়ের আশ্বাসে স্বামীর ঘর ছাড়লেন এক সন্তানের জননী। পরে প্রেমিক বিয়ে না করায় প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন ওই গৃহবধূ। মানিকগঞ্জের ওই গৃহবধূ শুক্রবার সকাল থেকে বিয়ের দাবিতে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছে।
অভিযুক্ত প্রেমিক জসীম উপজেলার চরভাগা ইউনিয়নের পাল কান্দি গ্রামের বাসিন্দা শফিক পালের ছেলে।
ভুক্তভোগী ময়না মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইড় উপজেলার বাসিন্দা কোমর আলী মণ্ডলের মেয়ে।
শুক্রবার সকালে উপজেলার চরভাগা ইউনিয়নে শফিক পালের বাড়িতে বিয়ের জন্য অনশনে বসেন ময়না।
ভুক্তভোগী ময়না জানান, প্রায় ৩ মাস আগে মানিকগঞ্জের ময়নার সঙ্গে জসীমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। জসীমের সঙ্গে সম্পর্কের এক মাস পরে বিয়ে করার আশ্বাসে নিজের স্বামী ও ২ বছর বয়সী মেয়েকে রেখে জসীমের কাছে চলে আসেন ময়না। পরে বিয়ে না হওয়ার বিষয়টি গোপন রেখে ময়নার কানের দুল, হাতের চুড়ি, গলার হার ও মোবাইল ফোন বিক্রি করে গাজীপুরে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সংসার করতে থাকে ময়না ও জসীম।
ময়না জসীমকে বিয়ে করার জন্য বারবার চাপ দিতে থাকলে ৩ দিন আগে ময়নাকে ঢাকায় রেখে পালিয়ে যায় জসীম। পরে জসীমের আলামিন নামে এক বন্ধুর সহযোগিতায় ঢাকা থেকে লঞ্চযোগে জসীমের গ্রামের বাড়িতে আসেন ময়না।
ময়না আক্তার বলেন, জসীমের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের ফলে আমি ১ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে গেছি। তার কারণে আমার স্বামী, সন্তান, মা-বাবা সব হারিয়েছি। এখন জসীম আমাকে গ্রহণ করছে না। তাই নিরুপায় হয়ে তার বাড়িতে এসেছি। তাকে না পেলে আমি আত্মহত্যা করব।
এ বিষয়ে জানতে জসীমকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পরে জসীমের মা তাসলিমা বেগম বলেন, জসীম এখন ঢাকায় আছে। মোবাইল ধরছে না তাই যোগাযোগও করতে পারছি না। আমার মনে হয় সব ষড়যন্ত্র।
এ বিষয়ে সখিপুর থানার ওসি মঞ্জুরুল হক আকন্দ বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
No comments:
Post a Comment