Tuesday, December 1, 2015
কর্মরতদের আমলনামা যাচাই হচ্ছে বিমানবন্দরে
দেশের সব বিমানবন্দরে কর্তব্যরত সংস্থার স্টাফদের আমলনামা যাচাই করা হচ্ছে। এ স্টাফদের বিষয়ে ভেরিফিকেশন (তদন্ত) করছে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি)। এরই মধ্যে সব সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীর তালিকা সংগ্রহ করেছেন তারা। এদিকে ভিআইপি লাউঞ্জ নীতিমালা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে এমপিদের কাছে চিঠি দেয়া হচ্ছে। দেশের বিমানবন্দরগুলোর সার্বিক নিরাপত্তাবিষয়ক আন্তমন্ত্রণালয় সভায় নেয়া সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এসব কার্যক্রম শুরু করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬শে অক্টোবর বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় হজরত শাহজালাল ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নাশকতামূলক কার্যক্রম সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। এরপর বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় এপিবিএনের সদস্যরা বিমানবন্দরের অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রান্তিক ভবনের ভেতরে ক্ষুদ্রাস্ত্রসহ (পিস্তল) টহল দেয়ার বিষয়ে কথা বলেন। তারা এ বিষয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালকের সঙ্গে সমন্বয়ের কথাও বলেন। সভায় আলোচনার পর এপিবিএন সদস্যদের পিস্তল বহন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে বলা হয়, এ ব্যবস্থা শুধু জরুরি অবস্থা চলাকালীন বহাল থাকবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিমান মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সিসিটিভি কক্ষে সিভিল এভিয়েশন, কাস্টমস, এপিবিএন ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার একজন করে সদস্য সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন। এসব সংস্থা তাদের সাপ্তাহিক বা মাসিক কর্তব্য পালনের জনবলের তালিকা এয়ারপোর্ট পরিচালকের দপ্তরে পাঠাচ্ছেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ভিআইপি ও ভিভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের নীতিমালা অনুযায়ী, সব ভিআইপি তাদের সঙ্গে দুজন দর্শনার্থী নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। এ ছাড়া বিমানবন্দরে আসার আগে বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে জানাতে হবে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে এ নির্দেশ যথাযথভাবে মানা হয় না। বিশেষ করে এমপিরা এটা লঙ্ঘন করেন বলে নিরাপত্তা-সংক্রান্ত সভায় আলোচিত হয়। এর ফলে প্রশাসনিক সমস্যার তৈরি করে এবং নিরাপত্তার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এ কারণে এমপিদের এ বিষয়টি জানানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ ছাড়া শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্টাফদের যাতায়াতের জন্য আগমন ও বহির্গমনের জন্য দুটি আলাদ গেট স্থাপনের জন্য সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে শাহজালাল বিমানবন্দরের স্পর্শকাতর এলাকা তল্লাশির জন্য ডগ স্কোয়াড নিয়োগ দেবেন এয়ারপোর্টের পরিচালক। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নিরাপত্তা-সংক্রান্ত ওই সভায় ১০টি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এসব সিদ্ধান্তের মধ্যে কয়েকটি এরই মধ্যে বাস্তবায়ন হয়েছে। বাকিগুলো বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চলছে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment