Social Icons

Thursday, March 3, 2016

মা নিজেই হত্যার কথা স্বীকার করলেন

অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান হলো। অবিশ্বাস্য হলেও মা নিজেই খুনের দায় স্বীকার করে র‌্যাবের কাছে জবানবন্দী দিয়েছেন। সন্তানদের পড়াশোনা ও ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তা থেকেই মা নিজে সন্তানদের হত্যা করেন বলে র‌্যাবের কাছে দাবি করেছেন। নিজ সন্তানদের শ্বাসরোধে হত্যা করার রোমহর্ষক সেই ঘটনা র‌্যাবের কাছে অবলীলায় বর্ণনাও করেছেন মা। এমনকি প্রকাশ করেছেন হত্যার পর স্বামীসহ আত্মীয়স্বজনের কাছে নিজেকে নির্দোষ এবং ভাল সাজার চেষ্টা করতে নাটক সাজানোর বিষয়টিও। আর নাটক সাজাতেই চাইনিজ রেস্টুরেন্টের খাবার খেয়ে বিষক্রিয়ায় দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার করা হয়। এমন ঘটনায় ‘খুনী’ মাকে দেখতে দেশের কোটি কোটি মানুষ বৃহস্পতিবার টেলিভিশনের সামনে ভিড় করেছিল। অনেকেই রামপুরার বনশ্রীর সেই বাড়িতে ভিড় করেছেন পাষ- মাকে একহাত দেখে নেয়ার জন্য।
মায়ের স্বীকারোক্তিতে খুনী কে তা জানা গেলেও মানুষের কাছে অনেক প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে। বিশেষ করে, যে কারণে হত্যার কথা বলা হচ্ছে, তা একেবারেই অযৌক্তিক। তা মেনে নিতে পারছেন না খোদ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও। তাহলে প্রকৃত কারণ কি? কারণটি যদি নিহতদের দাদি বা পিতা বা খালা বা পিতার বন্ধুর জানা থাকে, তাহলে তারা কেন মুখ খুলছেন না? এমনকি এমন একটি আলোচিত ঘটনায় মাকে কেন তারা খাদ্যে বিষক্রিয়ায় শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার চালিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন? প্রশ্ন রয়েছে সেখানেও। মূল রহস্য কোথায়? তা জানতে মানুষের মনে হাজারো প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।
যেদিন ঘটনা ঘটে ॥ গত ২৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাজধানীর রামপুরায় নুসরাত আমান অরণী (১২) ও তার সহোদর ভাই আলভী আমানের (৭) রহস্যজনক মৃত্যু হয়।
নিহতদের মা ও পরিবারের দাবি ॥ হোটেলের খাবার খেয়ে বিষক্রিয়ায় দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
চিকিৎসকদের দাবি ॥ দুই শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তাদের শরীরে শ্বাসরোধে হত্যা করার সব আলামতই রয়েছে।
নিহতদের মাকে গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদ ॥ চিকিৎসকদের বক্তব্য আর নিহতদের মায়ের বক্তব্যের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য থাকায় র‌্যাব নিহতদের পিতা-মাতা ও এক খালাকে বুধবার জামালপুর থেকে আটক করে। পরে তাদের ঢাকায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর সেই হত্যা কাহিনী।
যেভাবে র‌্যাব সদর দফতরে হাজির করা হয় মাকে ॥ আগে-পিছে তিনটি র‌্যাবের টহল গাড়ি। পিকআপগুলোতে প্রচুর র‌্যাব সদস্য সশস্ত্র অবস্থায় ছিল। আগে-পিছে তিনটি পিকআপ ভ্যানের মাঝখানে কালো কাঁচে ঘেরা একটি সাদা মাইক্রোবাসে মহিলা র‌্যাব সদস্যদের দিয়ে কড়া নিরাপত্তায় আনা হয় খুনী মাকে।
নির্বিকার ‘খুনী’ মা ॥ সাদা-কালো সালোয়ার-কামিজ পরিহিত মা ছিলেন একেবারেই নির্বিকার। তার চোখে ছিল না কোন পানি। না ছিল মুখে কোন আফসোসের চিহ্ন। একেবারেই স্বাভাবিক ছিল তার চলাচল। দিব্যি র‌্যাবের মহিলা সদস্যদের সঙ্গে হেঁটে চলে গেলেন র‌্যাব সদর দফতরের ভেতরে। তার ভেতরে ভাবাবেগ লক্ষ্য করা গেল না। সবাই হতভম্ব। একজন মহিলা, তারপর আবার মা, খুনী হয়ে এমন নির্বিকার হতে পারে কেউ ভাবতেই পারেনি। র‌্যাব সদর দফতরজুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। গ্রেফতারকারী র‌্যাব সদস্যরাও বলছেন, এমন খুনী তারা আর কোনদিনই গ্রেফতার করতে পারেননি। ভবিষ্যতে পারবেন কিনা তা নিয়েও সন্দেহ আছে।
যেভাবে হত্যা করা হয় দুই শিশুকে ॥ বৃহস্পতিবার দুপুরে র‌্যাব সদর দফতর উত্তরায় এক সংবাদ সম্মেলনের ডাক দেয় র‌্যাব। জনাকীর্ণ সেই সংবাদ সম্মেলনে নিহতদের মা গ্রেফতারকৃত বেগম মাহফুজা মালেক জেসমিনের (৩৮) বরাত দিয়ে র‌্যাবের লিগ্যাল এ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান জানান, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার ছিল নিহত অরণী ও তার ভাই আলভীর পিতামাতার ১৪তম বিবাহ বার্ষিকী। দিনটি ধুমধাম করে উদযাপন করে। ওই দিন পরিবারের সবাই বনশ্রীর ক্যান্ট চাইনিজ রেস্টুরেন্টে রাতের খাবার খায়। হোটেলে তাদের কেনা অনেক খাবার অবশিষ্ট থাকে। সেসব খাবার পার্সেল করে বাসায় নিয়ে যায়। খাবারগুলো ফ্রিজে রাখে।
২৯ ফেব্রুয়ারি ঘটনার দিন সোমবার অরণী ও আলভী দুপুরে স্কুল থেকে বাসায় ফেরে। ফেরার পর তারা রাতে রেস্টুরেন্ট হতে আনা অবশিষ্ট খাবার গরম করে খায়। খাওয়াদাওয়া সেরে অরণী বসে ছিল। এ সময় আলভীকে নিয়ে ঘুমাতে যায় মা। কয়েক মিনিট পরেও অরণী না গেলে তাকে বিশ্রাম করার কথা বলে ডাক দেয়। কিন্তু গৃহশিক্ষকের কাছে পড়া থাকায় অরণী যেতে পারেনি। অরণীর দুইজন মহিলা গৃহশিক্ষক। একজন শিউলি আক্তার অপরজন রাত্রিলা। এদের একজনের বেতন মাসিক ৭ হাজার অপরজনের মাসিক ৫ হাজার টাকা। ওইদিনই এক গৃহশিক্ষক বেলা তিনটা থেকে চারটা পর্যন্ত পড়িয়ে যায়।
এদিকে আলভী ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু জেগে থাকে মা। শিক্ষিকা চলে গেলে মা অরণীকে ডাক দেন। অরণীকে শুয়ে আরাম করতে বলেন। ক্লান্ত শরীরে অরণী শুয়ে পড়ার পরেই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। তখন বিকেল সাড়ে পাঁচটার মতো বাজে। পড়ার সময় অরণীর গায়ে মায়ের ওড়না ছিল। সেই ওড়না নিয়েই অরণী ঘুমাতে থাকে। এ সময় সেই ওড়না দিয়ে অরণীকে শ্বাসরোধে হত্যার করার চেষ্টা চালান মা। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে অরণী বিছানা থেকে নিচে পড়ে যায়। এরপর নিচে পড়ে গেলেও জাপটে ধরেন তিনি। নিচে ফ্লোরের সঙ্গে চেপে ধরে ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। অরণীর নিথর দেহ মেঝেতেই পড়ে থাকে।
এরপর অরণীর গলা থেকে ওড়না ছাড়িয়ে তা দিয়ে আলভীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন তিনি। হত্যার পর কয়েক মিনিট ধরে আফসোস করে একাই ঘরের ভেতরে কান্নাকাটি করেন। তারপর মোবাইল ফোনে স্বামীকে কল দেন। তখন স্বামী উত্তরা ছিলেন। ঘাতক মা স্বামীকে জানান, অরণী ও আলভী হোটেল থেকে আনা খাবার খেয়ে কেমন যেন করছে। মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এ সময় আলভীর পিতা স্থানীয় বন্ধু জাহিদকে দ্রুত বাড়িতে যেতে বলেন। আবার বাসার কাছে থাকা আলভীর খালা মিলাকেও বাসায় গিয়ে ঘটনা কি তা জানার জন্য বলেন।
জাহিদ দ্রুত প্রাইভেটকার নিয়ে আলভীদের বাড়িতে যান। তিনি অরণী আর খালা মিলা আলভীকে নামিয়ে আলভীর মাসহ সবাই প্রাইভেটকারযোগে বনশ্রী আল রাজী হাসপাতালে যান। আল রাজী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লাশ দুইটি দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে রাত পৌনে আটটায় তাদের মৃত ঘোষণা করেন দায়িত্বরত চিকিৎসকরা।
র‌্যাবের ভাষ্য ॥ চিকিৎসকদের বক্তব্য আর পিতামাতার বক্তব্যের মধ্যে মিল ছিল না। এজন্য র‌্যাবের সন্দেহ হয়। বিশেষ করে গত মঙ্গলবার সন্তানের লাশ গ্রহণ না করেই পিতামাতা অনেকটা পালিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করায় সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। যে কারণে নিহতদের পিতামাতা ও খালা মিলাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। এছাড়া ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে গৃহশিক্ষিকা শিউলি আক্তার (২৮), খালু নজরুল ইসলামের ভাগ্নে শাহিন (২২), খুনীর মামাত ভাই মোঃ ওবায়দুর ইসলাম (৩৪), বাসার দারোয়ান পিন্টু ম-ল (৩২) ও ফেরদৌসকে (২৮) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেয়া হয়।
হত্যাকা-ের কারণ সম্পর্কে র‌্যাব বলছে, নিহতদের মা শিশুদের স্কুলের পরীক্ষার ফল এবং ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তাযুক্ত ছিলেন। খুনীর ধারণা ছিল, তার সন্তানরা বড় হয়ে কিছুই করতে পারবে না। এজন্য তিনি তাদের হত্যা করেছে। হত্যাকা-ের সাবলীল বর্ণনা দিয়েছেন মা। তার ভেতরে দুই সন্তানকে হত্যার জন্য কোন ধরনের আফসোস নেই। দুই সন্তানকে নিজ হাতে হত্যার পর তার চোখে-মুখে সে রকম কোন ভাবলক্ষ্যণ নেই। মাসখানেক আগে খুনী একাই বেশ কয়েকবার আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছেন। তবে ‘খুনী’ মা মানসিকভাবে অসুস্থ কিনা স্পষ্ট নয়। ঘটনার সময় বাসায় নিহতদের দাদি হাসনা বেগম (৭৫) ছিল। এর বাইরে আর কেউ ছিল না। ঘটনার পর স্বাভাবিক থেকে খুনী মা নিজেকে মানসিকভাবে অসুস্থ প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন কিনা তাও স্পষ্ট নয়। তবে হত্যাকা-ের পেছনে আরও রহস্য আছে বলে মনে করছেন র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান, মিডিয়া বিভাগের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান ও ইন্টেলিজেন্স বিভাগের পরিচালক লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদ। তারা বলছেন, এত সামান্য কারণে কোন মায়ের পক্ষে দুই সন্তানকে হত্যা করা সম্ভব নয়। নিশ্চয়ই এর পেছনে আরও কোন কারণ আছে। বিশেষ করে অনৈতিক সম্পর্ক, টাকাপয়সা, গাড়িবাড়ি, পূর্বশত্রুতাসহ নানা কিছুই থাকতে পারে র‌্যাব কর্মকর্তাদের ধারণা। পরবর্তীতে রিমান্ডে কড়া জিজ্ঞাসাবাদে এসব প্রশ্নের উত্তর বেরিয়ে আসতে পারে বলে র‌্যাব কর্মকর্তারা বলছেন।
ময়নাতদন্ত রিপোর্ট থানায় হস্তান্তর ॥ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে রামপুরায় খুন হওয়া ভাই-বোনের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন থানায় হস্তান্তর করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। থানাটির উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুব্রত বিশ্বাস তা গ্রহণ করেন।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দু’জনকে নাকে, মুখে চাপ দিয়ে এবং গলা টিপে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে। হত্যার আলামত দেখে ধারণা করা হচ্ছে, এটা একা মায়ের পক্ষে করা সম্ভব নয়। এর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে।
চিকিৎসকদের বক্তব্য ও র‌্যাবের বক্তব্যের মধ্যে বিস্তর ফারাক ॥ র‌্যাব শিশু সন্তানদের মায়ের বরাত দিয়ে বলছে, মা একাই দুই সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন। অথচ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, কারও একার পক্ষে দুই শিশুকে হত্যা করা সম্ভব নয়। হত্যাকা-ে একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে বলে আলামত ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ঘটনাস্থল ॥ গত সোমবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে রাজধানীর রামপুরা থানাধীন বনশ্রীর বি ব্লকের ৪ নম্বর সড়কের ৯ নম্বর জিএম এ্যাপার্টমেন্ট লিমিটেডের তৈরি জিএম শাহনূর নামের সাততলা বাড়ির লিফটের চতুর্থ তলার পূর্ব দিকের ৫/এ নম্বর ফ্ল্যাট থেকে নুসরাত আমান অরণী (১২) ও তার সহোদর ভাই আলভী আমানকে (৭) অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে বাড়ির লোকজন ও আত্মীয়স্বজনরা। প্রথমে তাদের বনশ্রী আল রাজী হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতদের পরিচিতি ॥ অরণী রমনা থানাধীন সিদ্ধেশ্বরীর বেইলী রোডে অবস্থিত ভিকারুননিসা নূন স্কুল এ্যান্ড কলেজের স্কুল শাখার পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। আর আলভী বাসা থেকে আনুমানিক দু’শ’ গজ সামনে একই সড়কে অবস্থিত হলি ক্রিসেন্ট ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এ্যান্ড কলেজের স্কুল শাখায় নার্সারির ছাত্র ছিল।
মোট এগারোজন আটক ॥ কেন্ট নামের বনশ্রী এলাকায় অবস্থিত ওই চাইনিজ রেস্তরাঁর ম্যানেজার মামুনুর রহমান মাসুদ, প্রধান বাবুর্চি আসাদুজ্জামান রনি ও তার সহযোগী আতাউরকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে তারা কারাগারে। অন্যদিকে র‌্যাব-৩ নিহতদের বাড়িটির দুই নিরাপত্তা কর্মী পিন্টু (৩০) ও ফেরদৌস (২৮) এবং নিহতদের গৃহশিক্ষিকা শিউলী আক্তার (২৮), নিহতদের খালু নজরুল ইসলামের ভাগ্নে শাহীন (২২), নিহতদের মায়ের মামাত ভাই ওবায়দুর ইসলামকে (৩৪) ঢাকা থেকে আর জামালপুর থেকে নিহতদের পিতা গার্মেন্টসের এক্সেসরিজ ব্যবসায়ী মোঃ আমান উল্লাহ (৪২) ও মা মাহফুজা মালেক জেসমিন এবং খালা আফরোজা মিলাকে (৩২) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকায় আনে। জামালপুর থেকে আটককৃতরা সেখানকার নতুন হাইস্কুল রোডের নয়াপাড়ার গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে নিহতদের লাশ দাফন করতে গিয়েছিলেন।
 

No comments:

Post a Comment

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates