যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভিয়েতনাম গেছেন। সফরসূচির আগেই স্থানীয় সময় গতকাল রোববার রাতে দেশটির রাজধানী হ্যানয়ে পৌঁছান ওবামা । ভিয়েতনাম যুদ্ধের পর তৃতীয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ওবামা ভিয়েতনাম সফর করছেন। এই সফরে যুক্তরাষ্ট্র ও ভিয়েতনামের মধ্যে অস্ত্র ও বাণিজ্য বিষয়ে চুক্তি হতে পারে।
বিবিসি জানায়, এই সফরের মধ্যে দিয়ে ভিয়েতনামের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরো জোরালো হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রশান্ত মহাসগীয় অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরিতে নেমেছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই অংশ হিসেবে ওবামার এই ভিয়েতনাম সফর।
ভিয়েতনাম সফরকালে সেখানে কয়েকটি আলোচনায় অংশ নেবেন বারাক ওবামা। ট্রান্স প্যাসিফিক পার্টনারশিপ চুক্তিতে যোগ দেওয়ায় ভিয়েতনামের ক্ষেত্রে যে প্রতিবন্ধতা ছিল তা দূর করার বিষয়ে আলোচনা হবে। এই সফরে ভিয়েতনাম চায় দেশটির ওপর ১৯৮৪ সালে আরোপিত মার্কিন অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হোক।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপ-উপদেষ্টা বেন রোডস বলেন, ভিয়েতনামের ওপর থেকে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হবে। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলে ভিয়েতনাম তার প্রতিরক্ষা বাড়াতে পারবে। এর আগে ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আংশিক তুলে নেওয়া হলে চীন অসন্তোষ প্রকাশ করে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় হোয়াইট হাউস থেকে বলা হয়েছে, ভিয়েতনামে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হলেই কেবল অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে।
ভিয়েতনামে তিনদিনের সফর শেষে ওবামা জাপানের উদ্দেশে রওনা দেবেন। সেখানে জি৭ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা তাঁর। এ ছাড়া প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে হিরোশিমা সফর করবেন ওবামা। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে এই শহরের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ফেলা আনবিক বোমায় প্রায় দেড় লাখ মানুষ নিহত হয়। আনবিক বোমা ফেলার স্থান পরিদর্শন করবেন ওবামা। তবে জাপানের এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে ওবামা জানিয়েছেন, হিরোশিমায় আনবিক বোমা নিক্ষেপের ব্যাপারে কোনো ক্ষমা চাইবেন না তিনি।
No comments:
Post a Comment