Social Icons

Wednesday, May 4, 2016

এন্টিবায়োটিকে বাড়তে পারে সংক্রমণের ঝুঁকি!

ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ এন্টিবায়োটিক। কিন্তু এ ওষুধটিই যদি সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় তাহলে চিন্তিত না হয়ে উপায় আছে? সম্প্রতি গবেষকরা এমন উদ্বেগজনক তথ্যই জানাচ্ছেন। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে এনডিটিভি। এন্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ প্রতিরোধে চিকিৎসকদের সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার। কিন্তু এন্টিবায়োটিক গ্রহণের পরবর্তী সময়ে তা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এতে পরবর্তীকালে ঘন ঘন ওষুধটি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। গবেষকরা জানাচ্ছেন, এন্টিবায়োটিকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে এটি অত্যন্ত ক্ষতিকর বিষয়। এ ক্ষতিকর বিষয়টি কিভাবে দূর করা যায়, তা গুরুত্বের সঙ্গে গবেষণা করা উচিত। সম্প্রতি এন্টিবায়োটিকের এ ক্ষতিকর বিষয়টি অনুসন্ধান করা হয়েছে ইঁদুরের ওপরে গবেষণায়। এতে গবেষকরা দেখেন এন্টিবায়োটিক প্রয়োগের পর একসারি কার্যক্রম চলে, যা পেটের ভেতর ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধির কারণ হয়। এ কার্যক্রমের প্রথম ধাপে অ্যান্টিবায়োটিক পেটের ‘ভালো’ ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমিয়ে দেয়। এক্ষেত্রে ফাইবার ভাংতে কার্যকর ব্যাকটেরিয়াগুলোও কমে যায় এবং বিপাক ক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে। এ বিষয়ে গবেষকদের প্রধান অ্যান্ড্রু বাউমলার। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার ডেভিস হেলথ সিস্টেমস-এ কর্মরত। তিনি বলেন, এ প্রক্রিয়ায় দেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অর্গানিক এসিড বুটিরেট উৎপাদন হ্রাস পায়। পেটের হজমশক্তির এ পরিবর্তনের কারণে আঁশজাতীয় খাবার বিপাক ক্রিয়ায় সমস্যা তৈরি হয়। কিন্তু এন্টিবায়োটিক কিভাবে রোগের শক্তিকে বাড়িয়ে দেয়? এ বিষয়ে গবেষকরা জানান, এন্টিবায়োটিক এ কাজ করে অক্সিজেন মাত্রা কমিয়ে দিয়ে ও পেটের ফাইবার প্রসেসিং-এ পরিবর্তন করে। তবে ঠিক কিভাবে এ প্রক্রিয়া কাজ করে তা এখনও জানাতে পারেননি গবেষকরা। এ পর্যন্ত গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য তারা প্রকাশ করেছেন সেল হোস্ট মাইক্রোব জার্নালে। গবেষণার মূল বিষয়টিকে গবেষক বাউমলার ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে, ‘এন্টিবায়োটিক গ্রহণের পর পেটের বিভিন্ন ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া সহজেই অক্সিজেন নিতে পারে এবং এতে তাদের কারো কারো মাত্রা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যায়।’ এন্টিবায়োটিকের প্রভাবে পেটে এ বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় স্যালমোনেলা নামে একটি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে। এটি পরবর্তীতে ডায়রিয়া, জ্বর ও অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। মূলত ১২ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর এ প্রক্রিয়াটি হতে পারে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারর্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন।

No comments:

Post a Comment

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates