ব্রাজিলের নতুন সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছেন। বিক্ষোভকারীরা দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে স্লোগান দেন। সরকারবিরোধী সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হলেও শেষদিকে সহিংসতা শুরু হয়, তখন পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস, স্টান গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হন, এদের মধ্যে বিবিসির একজন সাংবাদিকও রয়েছেন। পুলিশ দাবি করেছে, ‘অরাজকতা’ এড়ানোর জন্য শক্তিপ্রয়োগ দরকার হয়ে পড়েছিল। পুলিশি অ্যাকশনের মুখে কিছু বিক্ষোভকারী পুলিশ ও বিভিন্ন ভবনের দিকে বোতল ও পাথর ছুঁড়ে মারে এবং সড়ক প্রতিবন্ধকগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
অভিশংসনে দিলমা রৌসেফ ক্ষমতা হারানোর পর ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন তেমের। নতুন প্রেসিডেন্ট মিশেল তেমেরের বিরুদ্ধে টানা বিক্ষোভের সপ্তম দিনটিতে এককভাবে শুধু সাও পাওলোর বিক্ষোভেই ৫০ হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন বিক্ষোভের আয়োজকেরা। সরকারবিরোধী বিক্ষোভের প্রতিক্রিয়ায় চীনে থাকা প্রেসিডেন্ট তেমের বলেছেন, “প্রতিবাদকারীরা ছোট ছোট দলে ছিল, এগুলোকে জনপ্রিয় আন্দোলন বলা যায় না।” জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলনের একটি পর্বের ফাঁকে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “২০ কোটি ৪০ লাখ মানুষের দেশ ব্রাজিলে তাদের (বিক্ষোভকারীদের) সংখ্যাটা প্রতিনিধিত্বশীল নয়।”
সাও পাওলোতে বিক্ষোভকারী গুস্তাভো অ্যামিগো বলেন, “আমরা এখানে এসেছি এটা দেখাতে যে, এই ক্যু সত্বেও জনগণের ক্ষমতা শেষ হয়ে যায়নি, সরকারের পতন ঘটাতে ও একটি নতুন নির্বাচনের ডাক দিতে আমরা রাস্তায় নেমে এসেছি।” প্রথম থেকেই কংগ্রেসের অভিশংসনকে সাংবিধানিক ক্যু বলে অভিহিত করে আসছেন রৌসেফ ও তার সমর্থকেরা। অ্যামিগোও তার পুনরাবৃত্তি করলেন।


No comments:
Post a Comment