সকল শরণার্থীদের পদ্ধতিগত আটকের অনুমোদন দিয়েছে হাঙ্গেরি পার্লামেন্ট। গত মঙ্গলবার পার্লামেন্ট এ অনুমোদন দেয়। তবে এ উদ্যোগ সন্ত্রাসী হামলা থেকে পুরো ইউরোপকে রক্ষা করবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান।
অভিবাসনকে ‘সন্ত্রাসের ট্রোজান হর্স’ (সন্ত্রাসের ফাঁদ) বলেছেন অরবান। তিনি বলেন, যদি বিশ্ব দেখে আমরা আমাদের সীমান্তে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করছি, তখন আর কেউ অবৈধভাবে হাঙ্গেরি ঢোকার চেষ্টা চালাবে না। এদিকে যারা ইতোমধ্যে দেশে প্রবেশ করে গেছে এবং সম্প্রতি দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তের বিভিন্ন শিবিরে কারারুদ্ধ হয়েছেন তাদের আবেদন প্রক্রিয়াকরণ করা হয়েছে।
এখন আইনগতভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তাছাড়া যারা সার্বিয়া সীমান্ত দিয়ে এসেছেন তাদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হবে। তবে প্রত্যাখ্যানের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন তিন দিনের মধ্যে বাছাই করা হবে বলে জানা গেছে। আর যেসব অভিবাসীদের আবেদন নাকচ হয়ে গেছে তাদেরকে কারাভোগ করতে হবে।
এর আগে দেশটি একই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও ২০১৩ সালে ব্রাসেলস, জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ও ইউরোপিয়ান কোর্ট অব হিউম্যান রাইটস’র চাপে সেখান থেকে সরে আসতে হয় তাদেরকে। শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, নতুন আইন ইতোমধ্যে দুঃসহ অবস্থায় থাকা নারী, শিশু ও পুরুষের ওপর শারিরীক ও মানসিক প্রভাব ফেলবে।
ডন।
No comments:
Post a Comment