Social Icons

Wednesday, March 8, 2017

সৌদি আরবে নতুন আইন, হুমকির মুখে ৫০ লক্ষ অভিবাসী


সৌদি আরবের সরকার নতুন কিছু অভিবাসী আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে এখন আলোচনা করছে যার ফলে সে দেশে প্রায় ৫০ লাখ অভিবাসীর এক বিরাট অংশকে বহিষ্কার করা হতে পারে। সৌদি দৈনিক আল-হায়াতের এক খবরে বলা হয়েছে, সৌদি শুরা কাউন্সিল অবৈধ অভিবাসন নির্মূল করার লক্ষ্য নিয়ে একটি বিশেষ কমিশন গঠনের প্রশ্নে আলোচনা করছে। 
 
সৌদি আরবের অবৈধ অভিবাসী সমস্যা সম্পর্কে কাউন্সিলের জন্য একটি রিপোর্ট তৈরি করেছেন কাউন্সিল সদস্য ড. সাদকা ফাদেল। ড. ফাদেল বলছেন, হজ, উমরা কিংবা ভ্রমণ ভিসা নিয়ে এশিয়া এবং আফ্রিকার নানা দেশে থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ সৌদি আরবে প্রবেশ করেছেন। কিন্তু এদের বেশিরভাগই আর কখনই নিজ দেশে ফিরে যাননি। নিজেদের পাসপোর্ট ফেলে দিয়ে তারা রাজধানী রিয়াদ, জেদ্দা, মক্কা, মদিনা এবং তাইফের মত শহরে লুকিয়ে কাজকর্ম করছেন।  
 
স্থানীয়ভাবে কেউ কেউ বিয়েও করেছেন। এদের মধ্যে একটা বড় অংশ নানা ধরনের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছেন। তিনি জানান, এই সমস্যাটিকে সৌদি সরকার জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি বড় একটি হুমকি হিসেবে বিবেচনা করছে। আর সেজন্যই অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের চিন্তাভাবনা চলছে। কিন্তু অবৈধ অভিবাসীদের বৈধভাবে সৌদিতে থাকার ব্যবস্থা করে এদের অপরাধের পথ থেকে সরে আসার সুযোগ কেন সৌদি সরকার দিচ্ছে না? 
 
এক প্রশ্নের জবাবে ড. ফাদেল জানান, এসব অবৈধ অভিবাসীরা যাতে বৈধ হতে পারে সৌদি সরকার প্রাথমিকভাবে সেই চেষ্টাই করবে। পাশাপাশি এসব মানুষের মানবাধিকারের প্রশ্নটিও জড়িত রয়েছে। তিনি বলেন, যাদের কাগজপত্র ঠিক করা যাবে, তারা বৈধভাবে থাকার অনুমতি পাবেন। কোন কোন ক্ষেত্রে সৌদি নাগরিকত্ব দেয়ার প্রশ্নটিও বিবেচনার মধ্যে রয়েছে। কিন্তু বহু অবৈধ অভিবাসী রয়েছেন যারা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত। এদের সৌদি আরব ছাড়তে হবে বলে তিনি জানান। 

বিবিসি।

No comments:

Post a Comment

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates