চলতি বছর লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে রেকর্ড পরিমাণ সয়াবিন উত্পাদন হতে পারে। রেকর্ড উত্পাদনে ভর করে দেশটি থেকে বাড়তে পারে শস্যটির রফতানিও। সম্প্রতি হামবুর্গভিত্তিক তেলবীজ গবেষণা প্রতিষ্ঠান অয়েল ওয়ার্ল্ড এমন পূর্বাভাস দিয়েছে। খবর রয়টার্স।
অয়েল ওয়ার্ল্ডের তথ্যমতে, ২০১৭ সালে ব্রাজিলে ১০ কোটি ৮ লাখ ৫০ হাজার টন সয়াবিন উত্পাদন হতে পারে। গত বছর দেশটিতে শস্যটি উত্পাদনের পরিমাণ ছিল ৯ কোটি ৫৪ লাখ ৩০ হাজার টন।
অন্যদিকে চলতি বছর ব্রাজিল থেকে ৬ কোটি ১৪ লাখ টন সয়াবিন রফতানি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে অয়েল ওয়ার্ল্ড। গত বছর দেশটি থেকে ৫ কোটি ১৬ লাখ টন সয়াবিন রফতানি হয়েছিল। এ হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ব্রাজিল থেকে সয়াবিন রফতানি বাড়তে পারে ৯৮ লাখ টন।
পূর্বাভাসের চেয়েও চলতি বছর ব্রাজিলে সয়াবিন উত্পাদন ও রফতানি বেশি হতে পারে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এ প্রসঙ্গে অয়েল ওয়ার্ল্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছর আমাদের পূর্বাভাসের চেয়ে ব্রাজিলে সয়াবিন উত্পাদন ১ কোটি ৩০ লাখ টন পর্যন্ত বেশি হতে পারে। এমনটি হলে দেশটি থেকে শস্যটির রফতানিও পূর্বাভাসকে ছাড়িয়ে যাবে।’
লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সয়াবিন উত্পাদন করে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে, বলিভিয়া ও উরুগুয়ে। চলতি বছর এ পাঁচ দেশে ১৮ কোটি ২ লাখ টন সয়াবিন উত্পাদনের পূর্বাভাস দিয়েছে অয়েল ওয়ার্ল্ড। গত বছর দেশগুলো সম্মিলিতভাবে ১৬ কোটি ৫৩ লাখ টন সয়াবিন উত্পাদন করেছিল।
অনুকূল আবহাওয়া ও আবাদ বাড়ায় এবার লাতিন আমেরিকাসহ শীর্ষ উত্পাদক দেশগুলোয় সয়াবিন উত্পাদন বেশি হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)। এমন খবরে আন্তর্জাতিক বাজারে এরই মধ্যে দাম কমতে শুরু করেছে শস্যটির। পূর্বাভাস অনুযায়ী উত্পাদন হলে শস্যটির দাম আরো কমবে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।
No comments:
Post a Comment