গত জুলাইয়ে নিউ ইয়র্ক পুলিশে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত পটুয়াখালীর প্রিন্স আলম লেফটান্যান্ট পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর এবার পুলিশের ট্রাফিক এনফোর্সমেন্ট বিভাগে নিয়োগ পেলেন প্রায় দেড়শ বাংলাদেশি। যুক্তরাষ্ট্রের মতো বিশ্ব শক্তিধর একটি দেশে প্রশাসন বিভাগে বাংলাদেশিদের এই অর্জন নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের পুলিশ বিভাগ থেকে শুরু করে গোটা দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। সেই সাথে বাংলাদেশের সুনাম ও সুখ্যাতি বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নিউ ইয়র্ক পুলিশ ইউনিয়নের সভাপতি সৈয়দ রহিম।
গত ৩০ জুলাই সন্ধ্যায় বেলাজিনো পার্টি হলে নিয়োগ পাওয়া এসব বাংলাদেশি পুলিশদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বরণ করে নেয় নিউ ইর্য়কে বাংলাদেশি ট্রাফিক পুলিশের সংগঠন ‘এন-ওয়াই-পি-ডি ট্রাফিক এনফোর্সমেন্ট এজেন্টস। আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে সংগঠনের সভাপতি মাসুদ আলী ভুইঁয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন, নিউইয়র্ক পুলিশের লেফটেনেন্ট মিল্লাত খান ও ট্রাফিক কর্মকর্তা সৈয়দ উৎবা প্রমুখ।
তবে নিউ ইর্য়কের পুলিশ বিভাগে প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়োগ পাওয়ার বড় কারণ হিসেবে দেখছেন পূর্বে নিয়োগ পাওয়া কিছু অভিবাসী বাংলাদেশিদের কর্মদক্ষতা। ট্রাফিক পুলিশ বিভাগে প্রশাসনিক দক্ষতার পরিচয় দেওয়ার কারণে প্রিন্স আলমের আগে আরও সাত প্রবাসী বাংলাদেশিকে লেফটান্যান্ট পদে পদোন্নতি দেয় নিউ ইর্য়ক পুলিশ বিভাগ। যা শুধুমাত্র নিউ ইর্য়ক পুলিশে নয়, সারা বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসনকে উজ্জীবিত করেছিল বেশ দারুণভাবে।
বাপা’র ট্রাস্টি ডিটেকটিভ জামিল সারোয়ার জনি বলেন, “নিউ ইয়র্ক পুলিশে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কর্মকর্তাদের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। পুলিশ বিভাগে বাংলাদেশিরা অনেক ভাল করছেন।” ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন জামিল সারোয়ার।
বিদেশের পুলিশ বিভাগে দক্ষতার পরিচয় দেওয়ার দিক থেকে শুধু নিউ ইর্য়ক নয়, জাতিসংঘ,ইন্টারপোল,পুলিশ উইমেন্স নেটওয়ার্কসহ বিভিন্ন দেশের মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যরা বেশ দক্ষতার সাথে কাজ করছে। আর তার প্রমাণ মিলল জাতিসংঘ সদর দপ্তরের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জেন পেরি লেক্রোক্সের কথায়। জুলাইয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফররত বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল এ কে এম শহীদুল হকের সাথে নিউইয়র্কে বৈঠককালে তিনি বাংলাদেশ পুলিশের এ ভূষয়ী প্রশংসা করেছিলেন।
শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ পুলিশকে আন্তর্জাতিক কাঠামোয় গড়ে তোলার জন্য পুলিশ বিভাগে পুরুষের নারীদেরকেও যুক্ত করা হয়েছে। নারীরাও দক্ষতার সাথে কাজ করছে বলে জানান আইজিপি।বর্তমানে হাইতি ও কঙ্গো মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের দুটি পূর্ণাঙ্গ নারী ইউনিট অত্যন্ত দক্ষতা ও সাফল্যের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত বিভিন্ন দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ পুলিশের ভূমিকা অন্য সব দেশ থেকে দৃশ্যমান বলে মনে করেন জাতিসংঘ।
No comments:
Post a Comment