কিছু রোগ যা এক সময় বয়স্কদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল; তবে এখন তা যে কোনো বয়সের মানুষকেই আক্রান্ত করছে। হার্টের রোগ সেগুলোর মধ্যে অন্যতম। এখন যে কোনো বয়সের মানুষই হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন। একজন সুস্থ মানুষও হঠাৎ করে হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এর নানা কারণ থাকতে পারে। নিয়মিত শরীরচর্চা করে বা সুস্থ জীবনযাত্রা করেও অনেক সময় এর প্রতিরোধ সম্ভব নয়।
অনেক সময়ে লুকানো কয়েকটি ফ্যাক্টর এক্ষেত্রে কাজ করে। মধ্য ৩০-এ হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে যে বিষয়গুলো, তা কোনো মতেই এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। বয়স বাড়লে তা আরও মারাত্মক আকার নিতে পারে। কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন হার্টের রোগের ঝুঁকি আছে, তা জেনে নিন।
ক্লান্তি :
আপনার কি সব সময় ক্লান্ত লাগে? অনেকক্ষণ ঘুমানো বা বিশ্রাম নেয়ার পরও নিজেকে ফ্রেশ মনে হয় না? সারা দিনের ক্লান্তি আপনাকে তাড়া করে বেড়ায়, যার ফলে আপনি কাজে মন দিতে পারেন না? এমন হলে তা হালকাভাবে নেবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
দমে ঘাটতি :
একটু বেশি খাটনি বা শারীরিক কসরত করলেই কি দমে ঘাটতি হয়? যদি এমনটা নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বুকে ব্যথা :
কামড় দেয়ার মতো বুকে ব্যথা অনুভব করেন? বুকের ঠিক মাঝে এ অসহ্য ব্যথা কখনও হয়? এর পাশাপাশি কোনো একটি হাতে ব্যথা হয়? এমন হলে দেরি করবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
স্থূলতা :
জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন হলে স্বাস্থ্যের নানা পরিবর্তন হয়। বাজারের খাবার, রেডি করা খাবার ও কম শারীরিক কসরত শরীরকে মোটা করে দেয়। এ থেকে ডায়াবেটিস, হাই ব্লাড প্রেসার থেকে শুরু করে হৃদরোগের আশংকা কম বয়সে বেড়ে যায়।
উদ্বেগ :
কোনো একটি ঘটনা বা অনেক ঘটনা সম্পর্কে মনের মধ্যে উদ্বেগ বহুদিন ধরে থাকলে হার্টের অসুখ হওয়া অস্বাভাবিক ঘটনা নয়।
ঘুমের ঘাটতি :
জীবনে নানা সমস্যা, কর্তব্য পূরণের চাপ, কাজের চাপ ইত্যাদি নানা কিছুর মধ্য দিয়ে আমাদের যেতে হয়। কেউ কেউ খুশি মনে এসব করেন, কারও ক্ষেত্রে এসবে অবসাদ ও দুশ্চিন্তা বেড়ে যায়। এসবই হার্টের গোলমাল বাঁধায়।
দাঁতে ময়লা :
দাঁতের ওপর ব্যাকটেরিয়ার হলুদ আস্তরণ অনেকের জমে যায়। একইসঙ্গে মুখে দুর্গন্ধ হয়। এমন হলে অবহেলা করবেন না। হার্টের সঙ্গে মুখের ভেতরের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
No comments:
Post a Comment