নো-লস নো-প্রোফিট নীতিমালায় ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে সৌদি আরবে নয়টি `বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ‘ প্রতিষ্ঠা করা হয়। শুরু থেকেই ভাড়া বাড়িতে পরিচালিত হয়ে আসছিলো স্কুলগুলো । তবে সৌদি শিক্ষা নীতির শর্ত পূরণে, স্কুলের পরিচালনা অভিভাবকদের হাতে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় বাংলাদেশ দূতাবাস। তখন থেকেই ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে স্কুলগুলো। কিন্তু সৌদির শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, বিদেশি মিশনগুলোর নিয়ন্ত্রণে প্রবাসীদের দ্বারা পরিচালিত স্কুলগুলো অন্যান্য বেসরকারী স্কুলের চেয়ে ভিন্নভাবে দেখা হয় তাদের দেশে। তাই এসব স্কুল পরিচালনা সংক্রান্ত আইন সংশোধনের মাধ্যমে এগুলোর উপর অধিকতর নিয়ন্ত্রণ আরোপের করা কথা ভাবছে সৌদি কতৃপক্ষ। যার ফলে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের স্কুলগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
প্রায় ৮ মাস আগে সৌদি শূরা কাউন্সিল বিদেশি কমিউনিটি স্কুল স্থাপনে মিশনগুলোর ভূমিকা সীমিত করতে একটি নতুন খসড়া আইন প্রণয়ন করে। ৬৩/২৮ নং প্রস্তাব সম্বলিত খসড়া আইনটি ২০১৩ সালের ২৬ মে তারিখে পাশ করা হয়। প্রস্তাবিত আইন এ ধরনের স্কুল স্থাপন ও পরিচালনার বিষয় পরিবর্তন করবে। এর আগে শূরা কাউন্সিল জানায় যে, দূতাবাসগুলোর ছত্রছায়ায় বিদেশী কমিউনিটি স্কুলকে নিরুৎসাহিত করা হবে এবং নতুন স্কুল স্থাপন বন্ধ করা হবে। এ ক্ষেত্রে ১৯৯৭ সালে পাশ হওয়া ফরেন কমিউনিটি স্কুল পরিচালনা বিধির ৯ নং ধারা সংশোধনের জন্য শূরা কাউন্সিলে একটি প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি আলোচনা শেষে শূরা কাউন্সিল বিদ্যমান আইন সংশোধনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে । শূরা কাউন্সিল দূতাবাসগুলোকে কমিউনিটি স্কুল স্থাপনের জন্য ভূমি বা ভবন ক্রয়ের অনুমতি প্রদানের বিষয়টির প্রত্যাখ্যান করেছে। এ ব্যাপারে তাদের বক্তব্য হচ্ছে, বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভুক্ত। উল্লেখ্য, বর্তমানে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়ায় রাজ্যের দু’টি প্রধান প্রবাসী কমিউনিটি স্কুল স্থান সংকুলান করতে পারছে না। কিন্তু এ সংকট মোকাবেলায় তারা আবাসনও ক্রয় করতে পারছে না। সৌদি আরবের রিয়াদ , জেদ্দা , দাম্মাম, আল কাছিম বুরাইদাহ , মদিনা , মক্কা এবং তাবুকে বাংলাদেশি স্কুলগুলো প্রতিষ্ঠিত।
No comments:
Post a Comment