বিদেশে অবস্থান ও চাকরি করাসহ সকল ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য পাসপোর্ট অতি প্রয়োজনীয় নথি। যেটি না থাকলে যেকোনো মুহূর্তে বিপদে পড়তে পারেন তারা। তাই সব সময় সঙ্গে রাখতে হয় এই প্রয়োজনীয় জিনিসটি। তবে পরবাসে মূল্যবান এই নথিটি সংশ্লিষ্ট দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গাফিলতিতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পাসপোর্ট ছাপানোর জন্য দেরিতে পাঠানো এবং ছাপানো হলেও সংশ্লিষ্ট দেশে সেগুলো সময়মতো না পাঠানোর কারণেই হয়রানির শিকার হচ্ছেন প্রবাসীরা। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও পাসপোর্ট অধিদফতরের বিরুদ্ধে উল্টো অভিযোগ রয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে ভয়েসবাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন, বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মো. মাসুদ রেজওয়ান। তিনি বলেন, আমরা সময় মত পাসপোর্ট পাঠিয়ে দিয়ে থাকি। কিন্তু অনেক সময় সঠিক সময়ে সেটি সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে পৌঁছায় না। তবে আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিসে পাসপোর্ট পাঠালে সপ্তাহে একটি দিনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না এসব প্রবাসীদের। যেদিন যে দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট ছাপানো হবে, সেদিনই বা তার পরদিন সেগুলো পাঠানো হবে।
বিশেষ করে যেসব দেশে বাংলাদেশিদের সংখ্যা বেশি সেসব দেশের প্রয়োজনে প্রতিদিন পাসপোর্ট পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। তবে সবই করা হবে প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে।’ প্রবাসীদের সুবিধার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের ওয়েব পেইজে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ফোন নং দিয়েছি। একটি সাপোর্ট নং ও দিয়েছি। আমাদের ওয়েব পেইজে মেসেজ দিলে আমরা তড়িত সহযোগীতা করি। এর মধ্যে ইতালি থেকে সব চেয়ে বেশি যোগাযোগ করা হয়েছে আমাদের সঙ্গে। আমরা সাধ্য মত প্রবাসীদের সহযোগীতায় কাজ করছি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দূতাবাসের চাহিদা অনুযায়ী আমাদের টিম পাঠিয়ে দিচ্ছি। প্রবাসে বাংলাদেশিরা যেন নিরাপদে কোন ঝামেলা ছাড়া মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট হাতে পেতে পারে। আমাদের যা জনবল আছে তা দিয়ে আমরা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রবাসীদের হাতে পাসপোর্ট পৌঁছে দিতে পারব। আর এটা নির্ভর করে অনেকটা দূতাবাসের চাহিদার উপর। তিনি কয়েক লাখ রোহিঙ্গার নিবন্ধনের কথা বলতে গিয়ে বলেন, আমরা রোহিঙ্গা শরনার্থীদের ১০ ফিঙ্গার নিয়ে যদি দিনে ১৩ হাজার রোহিঙ্গার নিবন্ধন করতে সক্ষম হয় তাহলে মালয়েশিয়ায় চার ফিঙ্গার নিয়ে কেন দ্রুত কাজ শেষ করতে পারব না। আমার যা জনবল আছে ফরেন মিনিস্ট্রি চাইলেই আমি দিতে পারব। তারা চাই কিনা আমি জানি না। পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সামন্যতম গাফিলতি নেই এক্ষেত্রে। প্রায়ই সার্ভারের সমস্যার কথা শোনা যায়। পাসপোর্ট পেতে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তি বা বিপর্যয়ের কথা আসে গণমাধ্যমে।এর উত্তরে মেজর জেনারেল মো. মাসুদ রেজওয়ান বলেন, `দেখুন আমাদের প্রকল্প ছিল পাঁচ বছরের জন্য। সার্ভারের ওয়ারেন্টি ছিল পাঁচ বছর। এখন আট বছরের বেশি চলছে। ইতোমধ্যে সার্ভার কেনা হয়েছে। এ ছাড়া পাসপোর্ট করা ও গ্রহণ করার পদ্ধতি হয়েছে ডিজিটাল। এসেছে অনেক পরিবর্তন। সামনে আরো পরিবর্তন আসবে।
No comments:
Post a Comment