ইউরোপে ঢোকার ভুয়া কাগজ তৈরি করে বিক্রিতে জড়িত ১৯ জনকে গ্রিস ও চেক প্রজাতন্ত্রে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়ে ইউরোপোল বলছে, এথেন্সভিত্তিক দুটি চক্র এ কাজে জড়িত, যাদের একটি বাংলাদেশিরা চালায়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পুলিশ সংস্থা তাদের গ্রেপ্তারের কথা জানিয়ে বলেছে, ইইউর জাল পাসপোর্ট ও ভিসা তৈরি করে প্রতিটি তিন হাজার ৬০০ ডলার পর্যন্ত বিক্রি করে এসব চক্র। কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে এসব জাল কাগজপত্র ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয়। বাংলাদেশিদের চক্রটি গত বছর কুরিয়ারে এসব কাগজপত্রের অন্তত ১২৬টি চালান পাঠিয়েছে।
জালিয়াতিতে জড়িত অন্য চক্রটি সুদানিদের জানিয়ে ইউরোপোল জানায়, গত বছর তারা কুরিয়ারে পাঠিয়েছে ৪৩১টি চালান। এই অপরাধীরা বিভিন্ন সীমান্তে মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত বলে গ্রিস পুলিশের ভাষ্য। এথেন্স থেকে এই চক্রের ১৬ জন এবং চেক রিপাবলিক থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ইউরোপোল জানিয়েছে। আর জাল কাগজ ব্যবহারে চেক রিপাবলিকে আরও সাতজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে বিবিসি। গ্রিস ও অন্যান্য দেশে এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত আরও প্রায় ১০০ জনকে এখনো খোঁজা হচ্ছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়। তবে গ্রেপ্তারদের মধ্যে কয়জন বাংলাদেশি তা কোথাও বলা হয়নি।
এথেন্সভিত্তিক দুটি জালিয়াত চক্রই পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, শেনজেন ভিসা (ইউরোপের ২৬টি দেশে অবাধে চলাচলের অনুমতিপত্র), ড্রাইভিং লাইসেন্স, শরণার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড এবং রেসিডেন্স পারমিট জাল করে বলে গ্রিস পুলিশ জানায়। গত ২৫ মে গ্রিসে জালিয়াত চক্রের বিরুদ্ধে এই অভিযান পরিচালিত হয়। বিষয়টি নিয়ে গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণের জন্য এথেন্সে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এর সূত্র ধরে ইতালি, স্পেন ও অস্ট্রিয়ায়ও তদন্ত শুরুর অনুমতি এসেছে।
No comments:
Post a Comment