মালয়েশিয়ায় কর্মরত অবৈধ বিদেশি শ্রমিকদের বৈধ হওয়ার প্রক্রিয়া শেষ হতে আর মাত্র কিছুদিন বাকি। আগামী ৩১ ডিসেম্বর এ প্রক্রিয়ার শেষ সময়সীমা। নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে অবৈধ প্রবাসীরা যদি রি-হেয়ারিং প্রক্রিয়ায় অন্তভুক্ত না হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মালয় সরকার। শুধু তাই নয়, মালয়েশিয়ার শ্রম কাউন্সিলর থেকে জানানো হয়েছে যে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রি-হিয়ারিংয়ে ব্যর্থ নিয়োগ কর্তাদেরকেও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
কুয়ালালামপুরের কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, অবৈধ শ্রমিক রেখেছেন অথচ নির্ধারিত সময়ে ই-কার্ড সংগ্রহ করেননি এমন নিয়োগকর্তাকে আইনের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার। ডিজি ইমিগ্রেশনের বৈঠকে এ বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা দেয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, কেন কর্মীদের ই-কার্ড করায়নি এ জন্য নিয়োগকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এরইমধ্যে কয়েকজনকে শাস্তিও দেয়া হয়েছে। দেশটির অভিবাসন বিভাগের প্রধান দাতু মোস্তাফার আলী জানান, ৩১ ডিসেম্বরের পর থেকে অবৈধ বিদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হবে । এ পর্যন্ত মাই-ইজি/বুক্তিমেঘা ও ইমান কোম্পানির এ তিনটি ভেন্ডরে প্রায় ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৬৫ জন বাংলাদেশি কর্মী রি-হায়রিংয়ের জন্য নিবন্ধিত হয়েছেন এবং ১ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি ই-কার্ড সংগ্রহ করেছেন জানিয়ে দেশটির বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর বলেন, বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা ই-কার্ড এবং রি-হায়ারিংয়ের সুযোগ নিচ্ছেন।
এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংখ্যক বাংলাদেশি এই সুযোগ নিতে নিবন্ধিত হয়েছেন। এখনও একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এই প্রক্রিয়ার বাইরে রয়েছেন বলে জানান তিনি। তবে সেই সংখ্যা কত হবে-তা নিয়ে কোনো অনুমানে যেতে চাননি এ কর্মকর্তা। সেবার পাশাপাশি মাই-ইজি, বুক্তিমেঘা ও ইমান কোম্পানির রি-হিয়ারিং কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে রেখেছে দূতাবাস। এমনকি সরকারের তরফে মিশনকে সবরকম সহায়তা দেয়া হচ্ছে। তবে যারা কার্ড করেছেন, এমন কোম্পানি বা নিয়োগকর্তা ইমিগ্রেশনে অবৈধদের নামের তালিকা পাঠালে তাদের যাতে পুলিশ হয়রানি করতে না পারে সেই ব্যবস্থা নেবে মালয়েশিয়ার সরকার।
এ ছাড়া রিহায়ারিং কাজ দ্রুত করার জন্য ইমিগ্রেশন বিভাগ স্পেশাল টাস্কফোর্স করে দিয়েছে এবং তারা কাজ করছে। যেসব কোম্পানি মাই ইজি, ইমান বা বুক্তিমেঘার মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছে তাদের দ্রুত ইমিগ্রেশনে কর্মীদের হাজির করতে বলেছে। মালয়েশিয়া সরকারের এই কঠোর হুঁশিয়ারি এখনও যারা রি-হেয়ারিং প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করেননি তাদের জন্য। তবে এ প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে যারা শঙ্কায় আছেন তারা হলেন বাংলাদেশি শ্রমিক। কারণ এখনও পযন্ত বাংলাদেশিদের বড় একটি অংশ এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেননি।যদিও এটা নিয়ে দূতাবাসের বিরুদ্ধে গাফিলাতির অভিযোগ রয়েছে শ্রমিকদের মধ্যে।
No comments:
Post a Comment