ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’কে হত্যার ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেওয়ার দাবি করেছে পুলিশ। ডাউনিং স্ট্রিটে ব্যাপক বিধ্বংসী বিস্ফোরক পেতে তাকে হত্যার পরিকল্পনা হয়েছিল বলে মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে। গত মাসের শেষদিকে তারা দুই ব্যক্তিকে সন্ত্রাসের অভিযোগে গ্রেফতারের পর এই ঘটনায় অভিযুক্ত করেছে। গতকাল বুধবার তাদেরকে ওয়েস্টমিনিস্টার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে হাজির করা হয়।
এদিকে থেরেসা মে’কে হত্যার ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে আদালতে হাজির করা নাইমুর জাকারিয়া রহমান বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বলে জানা গেছে। বুধবার বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর লন্ডনের বাসিন্দা ২০ বছরের এই যুবক লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিজেকে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি বলে পরিচয় দেন।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ডাউনিং স্ট্রিটের নিরাপত্তা গেটে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ঢুকে পড়ে ছুরি, পেপার স্প্রে এবং সুইসাইড ভেস্ট ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’কে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলো। তবে জাকারিয়া রহমান অবশ্য আদালতে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। আদালত তাকে পুলিশের হেফাজতে পাঠিয়েছে। আগামী ২০ ডিসেম্বর তাকে আবারো উচ্চতর আদালতে হাজির করা হবে। লন্ডনে সন্ত্রাস-বিরোধী পুলিশ আটক করার পর গতকাল তার নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হল।
জাকারিয়া রহমানের বিরুদ্ধে আরো একটি সন্ত্রাসের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সে পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত এক তরুণকে লিবিয়ায় কট্টর ইসলামপন্থীদের হয়ে যুদ্ধ করতে যেতে সহযোগিতা করছিলো। দক্ষিণ-পূর্ব বার্মিংহামের ওই তরুণের নাম মোহাম্মদ আকিব ইমরান। তাকেও একইদিন আদালতে হাজির করা হয়। থেরেসা মে’র মুখপাত্র জানান, গত ১২ মাসে এমন ৯টি পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিয়েছে পুলিশ।
সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাজ্যে একের পর এক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটছে। মার্চে ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজ এলাকায় এক ব্যক্তি পথচারীদের ওপর গাড়ি তুলে দিয়ে ও পুলিশকে ছুরিকাঘাত করে পাঁচজনকে হত্যা করে। মে মাসে ম্যানচেস্টার আরেনায় একটি কনসার্টে আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ২২ জন নিহত হয়। জুনে লন্ডন ব্রিজ এলাকায় সন্ত্রাসীদের গাড়ি ও ছুরি হামলায় মৃত্যু হয় ১১ জনের।
No comments:
Post a Comment