নিখোঁজ সাংবাদিক আওরঙ্গজেব সজীবের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে পদ্মা নদীর মুন্সিগঞ্জ সদর এলাকায় তার লাশ ভেসে ওঠে। পরে স্থায়ীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নৌ-পুলিশের এডিশনাল এসপি মোখলেসুর রহমান জানান, লাশটির পরনের পোশাক ও শরীরের বর্ণনা নিখোঁজ সাংবাদিক সজীবের চেহারার সঙ্গে মিলে যায়। তবে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য তার পরিবারকে খবর দেয়া হয়েছে। তারা এসে লাশ সনাক্ত করবেন।
এর আগে গত রবিবার রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন আওরঙ্গজেব সজীবের। পরে তার স্ত্রী মোর্শেদা বেগম নিশি সোমবার শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। সজীবের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের খাসকান্দি এলাকায়। ঢাকার বকশী বাজার কমলদাহ্ উর্দ্দু রোডে নিজস্ব বাড়িতে স্ত্রী মোর্শেদা, দুই শিশু সন্তান নুর মোহাম্মদ সোহান ও ইসমাত আরা সাবাকে নিয়ে থাকতেন। তিনি ভোরের ডাক, বাংলাদেশ প্রতিদিন, বাংলাভিশন, সময়, ইনডিপেনডেন্টসহ কয়েকটি গণমাধ্যমের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
সজীবের স্ত্রী মোর্শেদা বলেন, রবিবার সকাল সাতটার দিকে সংবাদ সংগ্রহের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান। পরে লোকমুখে শুনতে পান তার স্বামী মুন্সিগঞ্জের কাছে লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে সন্দেহপোষণ করে তিনি প্রশ্ন তোলেন, তার স্বামী হঠাত্ মুন্সীগঞ্জে যাবে কেন? কেন সে ঝাঁপ দেবে? এর পিছনে অন্য কোনো কারণ আছে।
সজীবের সহকর্মীরা জানায়, রবিবার সকাল নয়টা ২২ মিনিট পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেলে ‘অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট’ নিয়ে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনে একটি সরাসরি সম্প্রচার করা সংবাদ প্রচারিত হয়। ওই টেলিভিশনের মেডিকেল প্রতিনিধি হিসেবে সজীব ঐ সংবাদ প্রচারে সহযোগিতা করেন। পরে সজীব সহকর্মীদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যান। এরপর সাড়ে ১০টার দিকে আরেক সহকর্মী সংবাদ সম্পর্কে জানতে ফোন করলে সাথী নামের এক মেয়ে সজীবের ফোন রিসিভ করে বলেন, ‘আপনি যাকে ফোন করেছেন উনি ১০ মিনিট আগে মোবাইল ও কাগজপত্র রেখে ঢাকার সদরঘাট থেকে চাঁদপুরগামী তাকওয়া লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন।’
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সাংবাদিক বুলবুল চৌধুরী বলেন, চাঁদপুরগামী তাকওয়া লঞ্চটি রবিবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকার সদরঘাট থেকে ছাড়ে। কিন্তু ৯টা ২২ মিনিট পর্যন্ত সজীব ঢাকা মেডিকেলে ছিলেন। তাহলে সজীব কিভাবে ওই লঞ্চে গেলেন কিংবা তার মোবাইল ও কাগজপত্র কিভাবে ওখানে গেলো?
No comments:
Post a Comment