Tuesday, December 22, 2015
২০১৫-এর সেরা একাদশে সাকিব-মুস্তাফিজ
২০১৫-এর সেরা একাদশে সাকিব-মুস্তাফিজ গুণীর কদর সবাই'ই করে। কথাটির সত্যতাই যেন প্রমাণ করে চলেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। সম্প্রতি আইসিসির বর্ষসেরা একাদশে স্থান পাওয়ার পর এবার ভারতের কলকাতা ভিত্তিক অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবিপি আনন্দের করা বর্ষসেরা একাদশেও স্থান করে নিয়েছেন মুস্তাফিজ। আর শুধু মুস্তাফিজই নয়, মুস্তাফিজের স্বদেশী বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকেও এই তালিকায় রেখেছে এবিপি আনন্দ। ২০১৫ সালের পারফর্মেন্সের ওপর ভিত্তি করে এবিপি আনন্দের বর্ষসেরা একাদশটি দেখে নেয়া যাক : ১.মার্টিন গাপটিল (নিউজিল্যান্ড): চলতি বছরে যেন রানের বন্যা বয়ে গেছে এই কিউই ওপেনারের ব্যাটে। গাপটিল সহ রোহিত শর্মা (ভারত), ডেভিড ওয়ার্নার (অস্ট্রেলিয়া), সৌম্য সরকার (বাংলাদেশ), হাসিম আমলা (দক্ষিণ আফ্রিকা) এবং তিলকরত্নে দিলশন (শ্রীলঙ্কা) সহ ছয় ওপেনারের এ বছর গড় ৫০-এর বেশি। কিন্তু গাপটিল সবচেয়ে বেশি রান করেছেন। ২৯ টি ম্যাচে ৫১.৪৮ গড়ে ১২৮৭ রান করেছেন তিনি। চলতি বছরেই একদিনের ক্রিকেটে দ্বিশতরান করেন এবং বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ২.তিলকরত্নে দিলশন (শ্রীলঙ্কা): এক বছর পরই ৪০-এ পা দেবেন দিলশন। কিন্তু পারফরম্যান্সে বয়সের ছাপ নেই। এ বছর ২২ টি একদিনের ম্যাচে ৫৫ গড়ে ১১০০ রান করেছেন তিনি। ৩. কুমার সঙ্গাকারা (শ্রীলঙ্কা): শ্রীলঙ্কা তথা বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ২০১৫-তে মাত্র ১৪ টি ম্যাচ খেলেছেন। বিশ্বকাপ চলার সময়ই তিনি অবসর নেন। এরইমধ্যে তিনি ৮৬.২০ গড়ে ৮৬২ রান করেছেন। ৪. কেন উইলিয়ামসন (নিউজিল্যান্ড): আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যখন এসেছিলেন তিনি তখন কেউই ভাবেননি যে ২০১৫-তে একদিনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হবেন উইলিয়ামসন। চলতি বছরে ২৬ ম্যাচে ৫৭.২৬ গড়ে ১৩১৭ রান করেছেন। ৫. এবি ডিভিলিয়ার্স (দক্ষিণ আফ্রিকা): সীমিত ওভারের ক্রিকেট আর ডিভিলিয়ার্স যেন একে অপরের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। যে কোন সেরা একদিনের দলেই হেঁটে হেঁটে ঢুকে যেতে পারেন তিনি। চলতি বছরে ২০ ম্যাচে ৭৯.৫৩ গড়ে ১১৯৩ রান করেছেন তিনি। যে কোন পজিশনেই তাঁকে খেলানো যেতে পারে। তবে পাঁচ নম্বরে নামার ক্ষেত্রে তিনিই সেরা। ২০১৫-র সেরা দলের অধিনায়কও তিনিই। ৬. শোয়েব মালিক (পাকিস্তান): পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দলে ছিলেন না তিনি। কিন্তু পরে দলে জায়গা পেয়ে নিজেকে মেলে ধরেন তিনি। চলতি বছরে ১৫ ম্যাচে ৬৭.৪৪ গড়ে ৬০৭ রান করেছেন তিনি। অলরাউন্ড দক্ষতার জন্য ৬ নম্বরে উপযুক্ত তিনি। ৭. সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ): বিগত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের মুখ হয়ে উঠেছেন সাকিব। বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছেন তিনি। চলতি বছরে ১৬ ম্যাচে ৪২.১০ গড়ে ৪২১ রান করার পাশাপাশি ২৭.৪৪ গড়ে ২৪ টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশকে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সাকিবের গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। ৮. মিচেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া): এ বছরের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহকারী বোলার।বিশ্বকাপে তিনি ব্যাটসম্যানদের আতঙ্ক হয়ে উঠেছিলেন। ১৮ ম্যাচে ১৬.২৬ গড়ে ৪১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ৯. ট্রেন্ট বোল্ট (নিউজিল্যান্ড): এই প্রজন্মের সেরা সুইং সুলতান। যে কোন পিচেই ব্যাটসম্যানদের নাকানিচোবানি খাওয়ানোর ক্ষমতা রয়েছে তাঁর। বিশ্বকাপে ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা নিয়ে টিম সাউদির সঙ্গে জুড়ি বেঁধে দলকে বিশ্বকাপের ফাইনালে নিয়ে যেতে সাহায্য করেন। স্টার্কের সঙ্গে তাঁর জুড়ি মারাত্মক হবে বলেই আশা। চলতি বছরে ১৭ ম্যাচে ১৯.৭৭ গড়ে ৩৬ উইকেট পেয়েছেন তিনি। ১০. ইমরান তাহির (দক্ষিণ আফ্রিকা): ২০১৫-তে একদিনের ক্রিকেটে সেরা স্পিনার তাহিরই। চলতি বছরে ২২ টি ম্যাচে ২৫.১৮ গড়ে ৩৭ উইকেট পেয়েছেন তিনি। ১১. মুস্তাফিজুর রহমান (বাংলাদেশ): দলের তৃতীয় সিমার মুস্তাফিজুর। বছরের সেরা আবিষ্কার তিনি। অভিষেক সিরিজেই ভারতের বিপক্ষে মাত্র ৩ ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেন তিনি। চলতি বছরে ৯ ম্যাচে ১২.৩৪ গড়ে ২৬ উইকেট পেয়েছেন তিনি।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment