বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশান ক্লাবে দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে নগর পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক আলোচনা সভায় মেয়র এসব কথা বলেন।
মেয়র দোকানমালিকদের আগামী সাত দিনের মধ্যে অবৈধ দখলকৃত অংশ ছেড়ে দেয়ার সময় দিলে দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ এক মাস সময় দেয়ার দাবি জানান। পরে মেয়র এক মাস সময় দিতে সম্মত হন।
তিনি বলেন, 'এর মধ্যে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সচেতনতামূলক মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হবে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক লিফলেট ও মাইকিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু এক মাস সময়ের পর কোনো অনুরোধ শোনা হবে না।'
উল্লেখ্য, রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটের নিজস্ব দোকানের সীমানার বাইরেও ফুটপাথ ও রাস্তার অংশবিশেষ দখল করে দোকানের পরিধি বাড়িয়ে নেন। এতে ভোগান্তিতে পড়েন ফুটপাথ ও রাস্তা ব্যবহারকারী সাধারণ নগরবাসী। মূলত এ কারণেই দোকান মালিক নেতৃবৃন্দর সঙ্গে বৈঠক আহ্বান করেন মেয়র।
বৈঠকে দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ মেয়রকে সহযোগিতাদানের আশ্বাস দেন।
মেয়র বলেন, 'সিটি করপোরেশন ট্রেড লাইসেন্স দেয়ার সময় দোকানের সাইনবোর্ডের আকৃতি নির্ধারণ করে দেয়। সাইনবোর্ডের আকৃতি অনুসরণ না করলে ওই দোকানীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
তিনি বলেন, 'নগরীকে সুন্দর হিসেবে গড়ে তুলতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।'
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি কাদের কিরন, মহানগর দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম পাটোয়ারী, সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, গুলশান মার্কেটের সভাপতি শেখ মনির, ঢাকা মহানগর দোকান মালিক ফেডারেশনের আহ্বায়ক তালাল রিজভী, বাজার পর্যবেক্ষণ কমিটির সভাপতি ডিএনসিসি কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম রতন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবাশ্বের হোসেন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মফিজুল হক, ডিএনসিসির সচিব নবীরুল ইসলাম প্রমুখ।
মেয়র রাস্তায় কোনো নির্মাণসামগ্রী না রাখা ও নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলার জন্যও নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানান।
No comments:
Post a Comment