বর্তমানে সে দেশে কর্মীদের ন্যূনতম মাসিক বেতন ৯০০ রিয়ালের সমপরিমাণ ( ১৯ হাজার ৪০০ টাকা)।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় দুই দেশের প্রতিনিধিদের যৌথসভা শেষে এ তথ্য জানানো হয়।
গত মাসে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল যে, আগামী দুই বছরে তিন লাখ কর্মী নেবে কাতার। দেশটির প্রতিনিধিরা বলেছেন, বাংলাদেশে থেকে আরও অধিকসংখ্যক কর্মী নিতে আগ্রহী কাতার।
বৃহস্পতিবার ছিল দু’দেশের মধ্যে চতুর্থ যৌথসভা। সর্বশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয় ২০১৪ সালে। কাতার বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান শ্রম বাজার। ২০১৫ সালে দেশটি বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৩ হাজার কর্মী নিয়েছে। ওমানের পরই কাতারই ছিল বাংলাদেশ থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কর্মী গ্রহণকারী দেশ। চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে বাংলাদেশ থেকে ২১ হাজার ৩০৯ জন কর্মী কাজ নিয়ে কাতার গেছেন। এর মধ্যে ১ হাজার ২০৬ জন নারী কর্মী রয়েছেন।
যৌথসভায় বাংলাদেশের ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব বেগম শামছুন নাহার।
কাতারের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সীমান্ত, পাসপোর্ট ও প্রবাসীবিষয়ক দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার মোহাম্মদ আহমেদ এম আল আতিক আল দোসারি। গত বুধবার ঢাকায় আসেন প্রতিনিধি দলটি।
২০২২ সালে কাতারে বসবে বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর। এ উপলক্ষে দেশটির সাতটি শহর নতুন করে গড়ে তোলা হচ্ছে। এ জন্য কয়েক লাখ নির্মাণকর্মী প্রয়োজন।
যৌথসভার পর প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কাতারে নার্স, ডাক্তার, প্রকৌশলী, শিক্ষক, আইটি ও বিক্রেতা কর্মীসহ সব খাতে কর্মী পাঠানোর ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment