কন্যা সন্তান হবে জেনে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার চাষিরী গ্রামে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে পুলিশ মাহমুদা আক্তারের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।
নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে অঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনার পর নিহতের স্বামী চাষীরী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু সাঈদকে (৪০) আটক করলেও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক।
নিহতের বোন লাবনী আক্তার অভিযোগ করেন, হত্যার বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য ওই এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আমাদের পরিবারকে চাপ দিচ্ছে।
জানা গেছে, উপজেলার পুড়াপাড়া গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের মেয়ে মাহমুদা আক্তারের সঙ্গে একই উপজেলার চাষিরী গ্রামের আবু সাঈদের ২০১১ সালে বিয়ে হয়। তাসনিম নামে তাদের সাড়ে ৩ বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
দ্বিতীয়বার মাহমুদা অন্তঃসত্ত্বা হন। আলট্রা সোনোগ্রাফি করে এবারও চিকিৎসকরা কন্যা সন্তান হবে জানালে স্বামী আবু সাঈদ স্ত্রীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে থাকেন।
এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার বিকালে আবু সাঈদ তার শাশুড়ি জোছনা বেগমকে মোবাইল ফোনে জানান, আপনার মেয়ে অজ্ঞান হয়ে গেছে। তাকে টঙ্গীবাড়ী ইউনাইটেড ক্লিনিকে নিয়ে আসা হয়েছে।
পরে শাশুড়ি জোসনা বেগম এবং নিহতের বোন লাবনী ইউনাইটেড ক্লিনিকে আসলে আবু সাঈদ লাবনীকে জানান, তোমার বোন স্ট্রোক করেছে।
তবে আবু সাঈদ সাংবাদিকদের জানান, তার স্ত্রীর আগে একটি কন্যা সন্তান হয়েছে। এবারও কন্যা সন্তান হবে জেনে নিজে আত্মহত্যা করেছেন।
টঙ্গীবাড়ী থানার ওসি আলমগীর হোসাইন জানান, হত্যার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। এ জন্য আটক আবু সাঈদকে ৫৪ ধারায় চালান দেয়া হবে।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আসলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment