অভিবাসনপ্রত্যাশীদের তুরস্কে পাঠিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনার মাধ্যমে ইউরোপ ‘এক মুখে দুই রকম কথা’ নীতি নিয়েছে বলে দাবি করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক এই মানবাধিকার সংস্থার মতে, অভিবাসনপ্রত্যাশী সমস্যা পাশ কাটানোর চেষ্টা করছেন ইউরোপীয় নেতারা।
অ্যামনেস্টি দাবি করেছে, বিশ্বব্যাপী চলা অভিবাসন সমস্যাকে পাশ কাটানোর ইউরোপের প্রচেষ্টা পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে স্পষ্ট বোঝা যায়। পরিকল্পনা অনুযায়ী, অভিবাসনের আবেদন না করা বা আবেদন করে ব্যর্থ হওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের গ্রিসে থেকে তুরস্কে ফেরত পাঠানো হবে। আর এর বিনিময়ে তুরস্ককে অর্থ ও রাজনৈতিক সহায়তা দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
জানা গেছে, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ইউরোপে ঢোকার আবেদন প্রক্রিয়ার ভার পড়েছে শুধু গ্রিসের ওপর। তবে সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা থেকে আসা অনেক অভিবাসনপ্রত্যাশী জার্মানিসহ উত্তর ইউরোপের কোনো দেশে অভিবাসনের আবেদন করতে ইচ্ছুক। তাঁরা গ্রিসে অভিবাসনের আবেদন করতে আগ্রহী নয়। কিন্তু বর্তমান পরিকল্পনায় অবেদন প্রক্রিয়ার পুরোপুরিই গ্রিসের হাতে। এ ছাড়া পরিকল্পনা অনুযায়ী, যেসব সিরীয় এখনই তুরস্কে আছে তাঁদের সেখানেই আবাসন ব্যবস্থা করা হবে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ইউরোপ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক পরিচালক জন ডেলহুইসেন বলেন, অভিবাসন সমস্যা সমাধানে ইউরোপ ও আন্তর্জাতিক আইন মানার অঙ্গীকার ইইউ রাখবে না বলেই মনে হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment