বৃষ্টির কারণে আর খেলা না হওয়ায় কপাল পুড়ে অসিদের। বাংলাদেশ এড়ায় আরও একটি লজ্জাজনক হার। কারণ এই ম্যাচের ফলাফল ঘোষণার জন্য আরও অন্তত চার ওভার খেলতে হতো স্মিথবাহিনীর।
বৃষ্টি আইনে খেলার ফল নিষ্পত্তির জন্য অন্তত ২০ ওভার খেলা হতে হতো। সেক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া যদি ১০৯ করত তাহলেই জিতে যেত ম্যাচ। অর্থাৎ চার ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল মাত্র ২৬ রান!
হাতে ৯ উইকেট।
বৃষ্টির কারণে নানা সমীকরণ তৈরি হয়। ম্যাচ রেফারি ঘোষণা করেন, ৪৩ ওভারে ১৭২ রান করলেই জয়ী হবে। পরবর্তীতে তা নেমে আসে ২৫ ওভারে ১২৭রান করতে হবে স্মিথদের। আর খেলা যদি ৩০ ওভারের হয় সেক্ষেত্রে করতে হবে ১৪২ রান।
বাংলাদেশ ৪৪.৩ ওভারে অলআউট হয়ে যাওয়ায় ডার্কওয়াথ-লুইস পদ্ধতিতে এতটাই সুবিধায় ছিল অস্ট্রেলিয়া।
এর আগে অস্ট্রেলিয়া যখন ব্যাটিংয়ে নামে তখন থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। তবে খেলা বন্ধ থাকেনি। বৃষ্টির মধ্যেই ব্যাটিং করেছে স্মিথ-ওয়ার্নার জুটি।
১৬তম ওভার শেষে বাড়ল বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির দাপট। বন্ধ হয়ে গেল খেলা। মুখ ভার করে মাঠ ছাড়েন ডেভিড ওয়ার্নার (৪০) ও স্টিভেন স্মিথ (২২)।
ফিঞ্চকে ফিরিয়ে দেন রুবেল
স্বল্প পুঁজি নিয়ে ফিল্ডিংয়ে নামা বাংলাদেশের একমাত্র সফল বোলার রুবেল হোসেন। অষ্টম ওভারে অসিদের রান যখন ছিল বিনা উইকেটে ৪৫। ঠিক তখনই আঘাত হানেন রোবেল। তিনি এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে অ্যারন ফিঞ্চকে (১৯) সাজঘরে পাঠান।
উল্লেখ্য, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৮২ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। তামিম সর্বোচ্চ ৯৫ রান করে আউট হন। এছাড়া সাকিব ২৯ ও মিরাজ ১৪ রান করেন।
এদিকে আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে এলবিডব্লিউ আউট হন মুশফিকুর রহিম। ব্যক্তিগত ৯ রানে তিনি হেনরিকসের বলে আউট হন। যদিও টিভি রিপ্লেতে স্পষ্ট দেখা গেছে তার বলটি ব্যাটে লেগেছিল।
No comments:
Post a Comment