উপসাগরীয় সংকট নিরসনে কাতারের অধিকারের প্রতি সম্মান দেখানোর জন্য সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছে তুরস্ক। শুক্রবার আঙ্কারায় কাতারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খালেদ বিন মোহাম্মদ আল আতিয়াহ’র সঙ্গে বৈঠককালে তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, চলমান এ সংকট কেবল হৃদ্যতাপূর্ণ আলোচনা ও দেশটির ন্যায্য অধিকারের প্রতি সম্মান দেখানোর মাধ্যমেই সমাধান করা সম্ভব।
তুর্কি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফিকরি ইসিক বলেন, কাতারের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলোর সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে বৈরিতার সৃষ্টি হয়েছে তা প্রকারান্তরে উপসাগরীয় অঞ্চলের সকলের প্রতিই নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সংলাপের মাধ্যমে এর সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে হবে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই দেশসমূহকে কাতারের প্রতি সকলের সম্মান দেখানোর মানসিকতা রাখতে হবে।
এর আগে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানও বলেছিলেন, সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের দাবি অনুযায়ী কাতারে তাদের সামরিক ঘাঁটি বন্ধ করে দেওয়ার অর্থ হচ্ছে দেশটির ওপর চরম অশ্রদ্ধা প্রকাশ করা। আর সেটা কখনোই শোভনীয় হবে না। তুরষ্কের সঙ্গে কাতারের বৈঠক এমন এক সময়ে হলো যখন কাতারকে নিয়ে উপসাগরীয় অঞ্চলে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। সৌদি জোট চাপ দিচ্ছে কাতার থেকে যেন তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি সরিয়ে কিংবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
কাতারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আল আতিয়াহ বলেন, তার সফরের এ উদ্দেশ্য হচ্ছে সেখানে থাকা তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি নিয়ে কথা বলা। তিনি বলেন, কাতার এবং তুরস্ক এক ঐতিহাসিক সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ। আর আমার সফরের উদ্দেশ্য হল সেই বন্ধনকে আরো সুসংহত ও দৃঢ় করা। কেননা দুইদেশের মধ্যে বহু বছর ধরেই প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি রয়েছে। গত সপ্তাহে রিয়াদ এবং তার মিত্ররা কাতার সংকট সমাধানে দেশটির কাছে ১৩ শর্ত জুড়ে দেয়। আর তার মধ্যে একটি হচ্ছে তুর্কি সামরিক ঘাঁটি এবং দোহা ভিত্তিক সম্প্রচার সংস্থা আল জাজিরা বন্ধ করে দেওয়া। তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান তখন সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের এ দাবিকে আন্তর্জাতিক আইনকে লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেন।
এদিকে দোহার ওপর অবরোধ আরোপের জন্য সৌদি ও তার মিত্র তিন দেশের বিরুদ্ধে মামলা করার ঘোষণা দিয়েছে কাতারের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। কাতারি মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান আলী বিন স্মাইক আল-মারি এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেছেন, এসব দেশের বিরুদ্ধে মামলার জন্য সুইজারল্যান্ড থেকে আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হবে । এর মধ্যে কয়েকটি মামলা দায়ের করা হবে ওই সব দেশের আদালতে আর কয়েকটি মামলা দায়ের করা হবে আন্তর্জাতিক আদালতে। আল জাজিরা।
No comments:
Post a Comment