লক্ষীপুর সদর থোনার দত্তপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা জাবের হোসেন । গত ৪ মাস আগে সৌদি আরব যান কাজের উদ্দেশ্য। বৈধভাবে কাগজ পত্র নিয়ে গেছেন বলে তার দাবি। তবে বৈধ হওয়ার পরও বর্তমানে তিনি জেদ্দা সেন্ট্রাল জেলে আটক আছেন।
জাবেরের দাবি, তিনি পরিচিতের বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন এবং রাস্তায় সৌদি পুলিশ তাকে আটক করে। কাগজ পত্র এমনকি ইকামা দেখানোর পরও পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়।
এই ভুক্তভোগী ভয়েস বাংলার সাথে যোগাযোগ করে এসব জানান। তিনি জানান, সৌদিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করা হলে কর্তৃপক্ষ তাকে ঈদের ছুটির কথা বলে বিষয়টি পরে দেখবেন বলে ফিরিয়ে দেন। এছাড়াও তিনি বলছেন, জেল কর্তৃপক্ষের কাছে তার কোম্পানির মালিক এসেছেন ও ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছেন কিন্তু তাতেও তাকে ছাড়েনি সৌদি পুলিশ।
জাবের জানান, জেদ্দা সেন্ট্রাল জেলে তার সাথে বর্তমানে বিভিন্নভাবে আটক প্রায় আশি জনের মত বাংলাদেশি কর্মী আছেন। তার মধ্যে অনেকের কাছেই বৈধ কাগজ পত্র আছে। তবে শাস্তি কিংবা জরিমানার ভয়ে কেউ প্রশাসনের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চাচ্ছে না।
জাবেরের দাবি, রাস্তাঘাট থেকে প্রায়ই বিদেশি কর্মীদের আটক করে সৌদি পুলিশ। সেক্ষেত্রে ইকামা থাকা কিংবা না থাকা কোন প্রভাব ফেলে না। দূতাবাসের চেষ্টায় কেউ কেউ ছাড়া পায়। তবে সবসময় সেটা সম্ভব হয়না বলেন জানান এই সৌদি প্রবাসী।
জাবের বলেন, সৌদিতে কর্মক্ষেত্রের বাইরে কোন আত্মীয় কিংবা বন্ধুর বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হলে বৈধদেরকেও অনেক সময় সৌদি পুলিশ আটক করে। সেক্ষেত্রে ছাড়া পেতে অনেক হয়রানির শিকার হতে হয়।
জাবের বলেন, বোকামি করে কেউ যেন বৈধ হওয়া স্বত্তেও বিনা অপরাধে জেলে না যায় তার জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে। তার ভাষায়, সৌদি পুলিশ এখন অনেক কড়াকড়ি করেছে। সামান্য এদিক সেদিক হলেও আটক করে জেলে পাঠায় এবং ছাড়া পেতে অনেক ভোগান্তি হয়
No comments:
Post a Comment