আন্তর্জাতিক ফুটবলে মার্সেলোর পথচলা খুব একটা মসৃণ নয়, জাতীয় দলে বেশ কবার উপেক্ষিতও হয়েছেন। গত কয়েক বছরে ব্রাজিলের দলীয় প্রাপ্তিও শূন্য। সেসব হতাশার অতীত ভুলে শেষ একটা মিশন স্থির করেছেন। রাশিয়া বিশ্বকাপ জিতে ফুটবল বিশ্বে দেশকে শীর্ষে ফেরানোর লক্ষ্য রিয়াল মাদ্রিদের এই ডিফেন্ডারের।
সাবেক কোচ দুঙ্গার সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় গত বছর জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েন মার্সেলো। খেলতে পারেননি কোপা আমেরিকার শতবর্ষী আসরে; যুক্তরাষ্ট্রের সে আসরে গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে পড়ে ব্রাজিল।
টানা ব্যর্থতার দায়ে চাকরি হারান দুঙ্গা, দায়িত্ব নেন তিতে। তার অধীনে মার্সেলোও ফিরে পান জায়গা, মাঝে দেশকে নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি। নতুন কোচের অধীনে স্বরূপে ফেরা পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা বাছাইপর্ব পেরিয়ে প্রথম দল হিসেবে রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করেছে। তাদের চির প্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনাকে বাছাইপর্ব উতরাতে কঠিন লড়াই করতে হচ্ছে।
প্লেয়ার্স ট্রিবিউনে নিজের একটি লেখায় ২০১৮ বিশ্বকাপে শিরোপা জয়ের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন মার্সেলো। তার দৃঢ় বিশ্বাস, তিতে দলে যে কাজ করেছে রাশিয়ায় এর ফল পাওয়া যাবে।
মার্সেলো লেখেন, “আমার শেষ একটি মিশন আছে। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে ব্রাজিল (স্বমহিমায়) ফিরতে যাচ্ছে। এটা লিখে রাখুন। … সত্যিই আমি বিশ্বাস করি, কোচ তিতেকে নিয়ে আমরা ব্রাজিলের পতাকাটাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ফেরাতে পারবো।”
“ওই ফোন কল আমার জন্য সবকিছু ছিল। এই প্রথম আমি জাতীয় দলের কোচের একটি ফোন পেয়েছিলাম। আমি ১১ বছর ধরে জাতীয় দলের হয়ে খেলছি। আমি তিতের জন্য খুনও করতে পারি। ছোট্ট একটি সোনার ট্রফি আমার দাদার কেবিনেটে রাখতে আমি যতখানি পারি তার সবটুকু করবো।”
ব্রাজিলের হয়ে এখন পর্যন্ত ৪৭টি ম্যাচ খেলেছেন মার্সেলো। কিন্তু জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়ে প্রায়ই খারাপ সময় কেটেছে তার।
২০১০ সালের বিশ্বকাপের দল থেকে শেষ মুহূর্তে বাদ পড়েন। ২০১৪ সালে নিজেদের মাঠে বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচে আত্মঘাতী গোল করে বসেন তিনি। জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে ভরাডুবির ম্যাচেও খেলেছিলেন রক্ষণভাগের এই খেলোয়াড়।
তবে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে সাফল্যের শেষ নেই মার্সেলোর। ক্লাবটির হয়ে তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, চারটি লা লিগা ও দুটি কোপা দেল রে সহ ১৭টি শিরোপা জিতেছেন তিনি।
No comments:
Post a Comment