Sunday, December 6, 2015
স্বামীকে ছেড়ে নিজের পরিচয়েই বাঁচবেন সৌদি মহিলারা
পুরুষশাসিত সৌদি আরবে ঘটতে চলেছ এক নয়া বিপ্লব। বিধবা এবং বিবাহবিচ্ছিন্না মহিলাদের জন্য তৈরি করা হচ্ছে পৃথক পরিচয়পত্র। যার মাধ্যমে পুরুষদের থেকে আলাদা ভাবে স্বাধীন জীবন যাপন করতে পারবেন ওই দেশের মহিলারা। নতুন নিয়মে মহিলারা শিশুদের স্কুলে ভর্তি করাতে পারবেন। এছাড়া চিকিৎসা জনিত সুবিধাও ভোগ করবেন পুরুষদের সাহায্য ছাড়াই। পূর্ববর্তী নিয়ম অনুযায়ী এই কাজ গুলি করতে বিবাহবিচ্ছিন্না মহিলাদের স্বামীর থেকে অনুমতি নিতে হতো। আর, বিধবাদের ক্ষেত্রে দরকার পড়ত আদালতের অনুমতি। নতুন এই পরিচয় পত্রের বৈধতার নির্দিষ্ট কোনও মেয়াদ নেই। সৌদি মহিলারা আজীবন এই পরিচয়পত্র ব্যবহার করতে পারবেন। ধর্মীয় নিয়মানুযায়ী বিভিন্ন রক্ষণশীল নিয়মাবলী প্রযোজ্য আছে মুসলিম মহিলাদের জন্য। মহিলাদের, জনসমক্ষে বোরখা দ্বারা নিজদের শরীর ঢেকে রাখা, ঘুরতে যাওয়া, চাকরি করা এবং বিয়ে করার ক্ষেত্রে পরিবারের পুরুষদের অনুমতি আবশ্যক। একবিংশ শতকেও সৌদি আরব একমাত্র রাষ্ট্র, যেখানে মহিলাদের গাড়ি চালানো বারণ। ইসলামিক নিয়মে সৌদি আরবে পুরুষদের চারটি বিয়ের মান্যতা দেওয়া আছে।পরিসংখ্যান অনুযায়ী সৌদি আরবে ডিভোর্সের হার ২৮ শতাংশ। আর, শতকরা ৬৫ ভাগ বিয়ে পারিবারিক কারণে ভেঙে যায়। বিবাহিত জীবন শেষ হয়ে গেলেও স্বামীর বেড়াজাল থেকে বেরোতে পারেন না সেদেশের মহিলারা। নতুন এই নিয়ম তাই মহিলাদের জন্য খুবই ফলপ্রসূ হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। চলতি সপ্তাহেই প্রায় সহস্রাধিক মহিলা নতুন এই পরিচয়পত্রের জন্য নাম নথিভুক্ত করেছেন। আগামী ১২ ডিসেম্বর পুর নির্বাচনে প্রথমবার ভোট দেবেন সৌদি মহিলারা। দু'বছর আগে প্রথমবার একজন সৌদি মহিলা আইনজীবী হিসাবে শিক্ষানবিশি করতে শুরু করেছিলেন।
Labels:
আন্তর্জাতিক
Subscribe to:
Post Comments (Atom)


No comments:
Post a Comment