Saturday, December 5, 2015
চুয়াডাঙ্গায় পুলিশ-ছাত্রলীগ সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা : পুলিশ-বিজিবির টহল
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার সামনে পুলিশ-ছাত্রলীগ সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সদর থানার এসআই পিয়ার আলি বাদি হয়ে ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে ৬০/৭০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলায় কাদের নাম রয়েছে জানা না গেলেও আসামি হয়েছে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। মামলায় পুলিশের কাজে বাধা দান, আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা, পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করাসহ বেশ কিছু অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা-কর্মীদের সাবধানে চলাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে। এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে সংঘর্ষের পর পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শনিবার সারাদিন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেনের নেতৃত্বে বিজিবি-পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত স্ট্রাইকিং ফোর্স টহল দিচ্ছে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সাতগাড়ীর বিশারত হোসেন বিশের ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী খালিদ ও সাইদের ছেলে আসাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। খবর পেয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিকসহ কয়েকজন নেতা-কর্মী থানায় যান। এক পর্যায়ে থানার মধ্যে পুলিশ ও ছাত্রলীগ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশ নেতা-কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ শুরু করে। ছাত্রলীগ কর্মীরাও ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। বিস্ফোরণ ঘটায় বেশ কয়েকটি বোমার। পুলিশ ছত্রভঙ্গ করতে ৫ রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। ঘটনার আকর্ষিকতায় থানায় ছুটে যান জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি। কার নির্দেশে পুলিশ গুলি ছুড়ল তিনি জানতে চান। অপরদিকে পুলিশের ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার বিকালে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় সংসদের হুইপ বলেন, শান্ত চুয়াডাঙ্গাকে অশান্ত করতে একটি বিশেষ মহলের ইঙ্গিতে পুলিশ এ কাজ করছে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)


No comments:
Post a Comment