আইনরক্ষার ভার যাঁদের উপর ন্যস্ত, শেষে তাঁরাই আইন ভাঙার খেলায় মাতলেন। থানার ভেতরে নিজেদের মধ্যে ধস্তাধস্তিতে মাতলেন উত্তরপ্রদেশের নারী ও পুরুষ পুলিশকর্মী। নারী সহকর্মীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামলেন বুলন্দশহরের আহার থানার এক পুরুষ পুলিশকর্মী। দুই পক্ষের সংঘর্ষে যথেচ্ছ ঘুষি-লাথি-ধাক্কাধাক্কিতে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হল থানা চত্বরে। ঘটনার জেরে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া দূরস্থান, উল্টে স্রেফ তদন্তের নির্দেশ দিয়েই দায়িত্ব সারলেন থানার শীর্ষ কর্মকর্তা। জানা গেছে, শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে নারী পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হলেও পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে এখনও কোনও কড়া পদক্ষেপ করা হয়নি। আহার থানায় বেশ কিছু বছর ধরে কনস্টেবল পদে বহাল রয়েছেন মহিলা পুলিশকর্মী বেবি। ওই থানাতেই বড়বাবু পদে বহাল রয়েছেন কে পি সিং। অভিযোগ, গত বুধবার রাতে কনস্টেবল বেবিদেবীর উদ্দেশ্যে অশ্রাব্য শব্দ ব্যবহার করে কয়েকজন পুরুষ কর্মী। বিষয়টি জানার পর বড়বাবু কে পি সিংয়ের কাছে ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান থানার মহিলা কর্মীরা। কিন্তু এর পরই কে পি সিং ও বেবীর মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হয়। কাজিয়ার মাত্রা চড়লে ক্ষুব্ধ নারী কর্মীরা কে পি সিংয়ের উপর চড়াও হয়ে তাঁকে জুতোপেটা করেন। এতে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন উপস্থিত পুরুষ কর্মীরা। বড়বাবুকে আক্রমণের জবাবে তাঁরা নারীদের পাল্টা কিল-চড় মারতে শুরু করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বেশ কিছুক্ষণ ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলতে থাকে। এদিকে সংঘর্ষে তাঁর স্ত্রীর উপর হামলার খবর পেয়ে থানায় পৌঁছনোর পর বেবিদেবীর স্বামীর সঙ্গেও কে পি সিংয়ের বচসা ও হাতাহাতি বাধে। পরে কয়েকজন পুলিশকর্মীর উদ্যোগে পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে। বিষয়টি শীর্ষ কর্তাদের গোচরে আনা হয়। এমএমপি অনন্ত সিং জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে বড়বাবু কে পি সিংয়ের সঙ্গে প্রথমে দুর্ব্যবহার করেন বেবিদেবীর স্বামী। আপাতত কনস্টেবল বেবিদেবীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে।
সূত্র: এই সময়
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment