যন্ত্র-জীবনে উৎকণ্ঠা যেনো জীবনেরই অনুসঙ্গ। আবার দীর্ঘদিন উৎকণ্ঠা নিরাময়ের ওষুধ খেলে অবসাদ, স্মৃতিশক্তি কমে আসার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আশঙ্কা রয়েছে অন্যান্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ারও।
এ ক্ষেত্রে উৎকণ্ঠা দূর করতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন সুগন্ধী তেজপাতার ব্যবহার সম্পূর্ণ নিরাপদ। উৎকণ্ঠার কারণে যেসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে:
সোশ্যাল অ্যাংজাইটি ডিজঅর্ডার: কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে নিজের উপস্থিতি নিয়ে অত্যাধিক সচেতনতা সোশ্যাল অ্যাংজাইটি ডিজঅর্ডারের লক্ষণ।
বিশেষ কিছুর ভীতি: কোনো বিশেষ পশু, বিশেষ পরিস্থিতি বা বিশেষ ঘটনা নিয়ে আতঙ্ক।
জেনারেল অ্যাংজাইটি ডিজঅর্ডার: কোনো কারণ ছাড়াও সব সময় চাপা টেনশন, চিন্তার লক্ষণ।
প্যানিক ডিজঅর্ডার: কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ অত্যাধিক ভয় পেয়ে যাওয়া।
মশলা হিসেবে যেমন তেজপাতার ব্যবহার দীর্ঘকাল ধরে চলে আসছে, তেমনই ওষুধ হিসেবেও এর ব্যবহার অনেক পুরনো।
গবেষকরা জানাচ্ছেন, তেজপাতার মধ্যে রয়েছে লিনালুল নামক উপাদান। এটি শুঁকলে তা উৎকণ্ঠা কাটাতে সাহায্য করে।
অ্যারোমা থেরাপি সেশনে ঘ্রানের সঙ্গে নেয়া হয় এই লিনালুল। দেখা গেছে, এর ফলে আগ্রাসী আচরণ কমে গিয়ে সামাজিক ব্যবহারে আসে পরিবর্তন।
বাড়িতে কীভাবে নেবেন এই থেরাপি: আগুনে পোড়ে না এমন একটি ছোট বাটিতে এক টুকরো কয়লা গরম করুন। এর মধ্যে অন্তত পাঁচটি তেজপাতা পোড়াতে থাকুন। এবার ঘরের দরজা বন্ধ করে বেরিয়ে যান। মিনিট পাঁচেক পর ঘরে ফিরে আসুন।
এবার ১০-১৫ মিনিট এ ঘরে কাটালেই পার্থক্যটা বুঝতে পারবেন। উৎকণ্ঠা বদলে দেহমনে ফিরে আসবে সতেজতা।


No comments:
Post a Comment