প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছে ত্রিশ কোটি ডলার নেই বলে যে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে তা জয়কেই প্রমাণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এই অর্থ নিয়ে করা জয়ের চ্যালেঞ্জ নিতে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানের প্রতিক্রিয়ায় শনিবার ঢাকায় এক আলোচনা সভায় বক্তব্যে এই আহ্বান জানান তিনি।
গত ৩০ এপ্রিল এক সভায় খালেদা দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রে একটি ব্যাংকের একাউন্টে প্রধানমন্ত্রীপুত্রের নামে ৩০ কোটি ডলার রয়েছে। জয়ের বিষয়ে তথ্য পেতে এফবিআইয়ের এক এজেন্টকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় প্রবাসী এক বিএনপি নেতার ছেলে রিজভী আহমেদ সিজারের কারাদণ্ডের রায়ে এই অর্থের উল্লেখ রয়েছে বলে তার দাবি। যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে ওই রায়কে কেন্দ্র করেই ঢাকায় পুলিশ গত বছর প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জয়কে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা করে।
খালেদা জিয়ার বক্তব্যের একদিন বাদেই প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জয় ফেসবুকে লেখেন, 'ম্যাডাম, আপনি যদি জানেন যে ৩০০ মিলিয়ন ডলার কোথায়, অনুগ্রহ করে আমাকে জানান। আমি সেই সমস্ত অর্থ এতিমদের দান করে দিতে চাই।'
এদিকে ছেলের পক্ষে দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার সংসদে বক্তব্যে খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে বলেন, 'কয়েকদিন আগে বিএনপিনেত্রী জয় সম্পর্কে একটি অসত্য তথ্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করতে চাইলেন। জয় সেটা চ্যালেঞ্জ করেছে। আমি আশা করি, সেই চ্যালেঞ্জের জবাব তিনি দেবেন এবং চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবেন।'
এই প্রসঙ্গ তুলে রিজভী বলেন, 'তিনশ মিলিয়ন ডলারের কথা একটা তথ্যের ভিত্তিতে বিএনপি বলেছে, খালেদা জিয়া বলেছেন। প্রমাণ করার দায়িত্ব তো সজীব ওয়াজেদ জয় সাহেবের। এটা প্রমাণ করার দায়িত্ব তো বেগম খালেদা জিয়ার না। আপনারা সেটা প্রমাণ করেন।'
জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বাংলাদেশ প্রজন্ম একাডেমি’র উদ্যোগে ‘বর্তমান গণতন্ত্রের আওয়ামী স্টাইল : আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় বিএনপির এই নেতা বলেন, আজকের যে সরকারটা হয়েছে শেখ হাসিনা ও তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্য। তাদের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলা যাবে না। প্রজারা যেমন কোনো কথা বলতে পারেন না, বাড়ি-ঘর সব বাজেয়াপ্ত করে ফেলে জমিদার। ঠিক একই হয়েছে তার কথায়।
প্রজন্ম একাডেমির সভাপতি কালাম ফয়েজীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় রিজভী ছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিলকিস শিরিন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান। বিডি নিউজ।


No comments:
Post a Comment