স্বামী স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ এক হলে নানা ধরনের
শারীরিক সমস্যা হতে পারে এমনকি ভবিষ্যত
সন্তানেরও সমস্যা হতে পারে। আমাদের শরীরে রক্তের
গ্রুপ দুটি প্রক্রিয়ায় নির্ণীত হয়ে থাকে। প্রথমটিকে
বলা হয় এ.বি.ও. সিস্টেম যা মূলত রক্তের গ্রুপ যেমনঃ এ,
বি, এবি, ও। দ্বিতীয়টি হল আরএইচ ফ্যাক্টর বা রেসাস
ফ্যাক্টর। এখানে দুটি ভাগ রয়েছে আরএইচ প্লাস বা আর
এইচ পজেটিভ এবং আরএইচ মাইনাস বা আর এইচ
নেগেটিভ। রক্তের এবিও সিস্টেম এর সাথে রেসাস
ফ্যাক্টর যুক্ত হয়ে রক্তের গ্রুপ নির্মীত হয়।
অর্থাৎ এর মাধ্যমেই রক্তের গ্রুপ পজেটিভ নেগেটিভ
হয়ে থাকে। রক্তের গ্রুপ এক হলে যে সমস্যা দেখা দিতে
পারে : স্বামীর রক্তের গ্রুপ পজেটিভ আর স্ত্রীর রক্তের
গ্রুপ নেগেটিভ হলে শরীরে লিথাল জিন বা মারণ জিন
নামে একটি জিন তৈরি হয় যা তাদের মিলনে সৃষ্টি
জাইগোটকে মেরে ফেলে। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই মৃত
বাচ্চার জন্ম হয়।
স্বামীর রক্তের গ্রুপ পজেটিভ হলে সন্তানের রক্তের
গ্রুপও পজিটিভ হয়ে থাকে। স্বামীর রক্তের গ্রুপ
পজেটিভ আর স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ হয়ে থাকলে
স্ত্রী পজেটিভ গ্রুপের একটি ফিটাস বা ভ্রুণ ধারণ করে
থাকে। ডেলিভারীর সময়ে পজেটিভ ফিটাসের ব্লাড,
প্লাসেন্টাল ব্যারিয়ার বা ভ্রুণফুল ডিসপ্লেসমেন্ট
ঘটবে। এর ফলে স্ত্রীর শরীরে নতুন ব্লাড গ্রুপের একটি
আর এইচ এন্টিবডি তৈরি হবে।
এটি প্রথম সন্তানের জন্মের সময়ে কোনো সমস্যা তৈরি
করবে না। কিন্তু দ্বিতীয়বার সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে
পূর্বের সন্তান জন্মের সময়ে তৈরি হওয়া আরএইচ
এন্টিবডি শরীরের ভ্রুণের প্লাসেন্টাল ব্যারিয়ারকে
ভেঙ্গে ফেলতে পারে। এর ফলে দ্বিতীয় সন্তান জন্মের
সময়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ কিংবা মৃত সন্তানের জন্ম
হতে পারে। একে মেডিকেলের ভাষায় আরএইচ
ইনকম্বালটিবিটি বলা হয়।


No comments:
Post a Comment