কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যার প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ভুল ছিল বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা-সক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে দুই ঘণ্টার বৈঠক শেষে শিল্পমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানরা।
আমু বলেন, ‘প্রথম ময়নাতদন্ত রিপোর্টটি ভুল ছিল, যার কারণে আমাদের পুনরায় তদন্ত করতে হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষা করতে হয়েছে। এতে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ধর্ষণে তিনজনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে। দ্রুতই এ হত্যা মামলা নিষ্পত্তি হবে। সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মামলাটি তদারক করছে।’
গত ২০ মার্চ সন্ধ্যায় টিউশনির জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তনু। পরে বাসায় ফিরে না আসায় তাঁকে খোঁজাখুঁজি করেন পরিবারের সদস্যরা। রাতে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সংলগ্ন কালভার্টের পাশে ঝোপে তাঁর লাশ পাওয়া যায়।
গত ১৬ মে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) জানায়, তনুর মৃতদেহে মোট চারজনের ডিএনএ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একটি তনুর নিজের। অন্য তিনটি তিনজন পুরুষের। তনুর প্যান্টি, কাপড়, শরীরের অংশবিশেষ ও ডিএনএ প্রতিবেদনে তিন ব্যক্তির শুক্রাণু পাওয়া গেছে। প্যান্টিতে লেগে থাকা রক্ত তনুর বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে। ঢাকার সিআইডির পরীক্ষাগারে ডিএনএ প্রতিবেদনে এ আলামত পাওয়া যায়।
এর আগে গত ৪ এপ্রিল কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা তনুর মৃতদেহের প্রথম ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন। তাঁরা জানিয়েছিলেন, তনুর শরীরে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি।
No comments:
Post a Comment