প্রাথমিক স্তরে ক্যানসার নির্ণয়ে ভারতের দিকে প্রযুক্তিগত সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিল আমেরিকা। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথ-এর একটি মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। কী ভাবে প্রাথমিক স্তরেই ক্যানসার চিহ্নিত করা যায়, কীভাবে সমানে সমানে টক্কর দিয়ে এই মারণ রোগের ছড়িয়ে পড়া ঠেকানো যায়, সেই ব্যাপারে গোটা বিশ্ব জুড়েই নানা রকম গবেষণা চলছে। এবার ভারতীয় বিজ্ঞানীদের কাছে এই সংক্রান্ত নতুন প্রযুক্তির হদিস দেবে আমেরিকা। বুধবার কলকাতার আমেরিকান সেন্টারে মার্কিন স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরা বিষয়টি তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মার্কিন কনসাল জেনারেল ক্রেগ হল। এ দিনের অনুষ্ঠানে মার্কিন স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরা জানান, প্রতি বছর ভারতে প্রায় ১০ লক্ষ নতুন ক্যানসার রোগীর হদিস মেলে। প্রাথমিক স্তরে রোগটিকে চিহ্নিত করা গেলে তবেই চিকিৎসার পুরো সুফল পাওয়া সম্ভব। সেই ব্যাপারেই তাঁরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে যখন আমেরিকা গিয়েছিলেন, তখনই এই বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। আমেরিকার ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটের ধাঁচে এ দেশে একটি কেন্দ্র তৈরি হবে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ এবং দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস-এর সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ হবে। শুধু ক্যানসারই নয়, স্বাস্থ্যের আরও কয়েকটি ক্ষেত্রে ভারত-আমেরিকার যৌথ উদ্যোগ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মা এবং মানসিক স্বাস্থ্য। মার্কিন প্রতিনিধিদের বক্তব্য, এইচআইভি নিয়ন্ত্রণে বহু আগে থেকেই ভারত-মার্কিন যৌথ উদ্যোগ রয়েছে। ইম্ফলের একটি এবং কলকাতার দু’টি প্রতিষ্ঠানের ল্যাবরেটরিকে আরও উন্নত করার জন্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ‘ইমার্জেন্সি প্ল্যান ফর এড্স রিলিফ’-এর আওতায় ভারত-সহ আরও কয়েকটি দেশে চিকিৎসা পরিকাঠামো বাড়ানোর পাশাপাশি আক্রান্তদের চিকিৎসা পরিষেবা দেন যাঁরা, তাঁদের স্বাস্থ্য-নিরাপত্তা বাড়ানোর ওপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে।
সূত্র: আনন্দবাজার
Thursday, May 19, 2016
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment