অভিবাসন প্রত্যাশী শরণার্থীদের আশ্রয় না দিলে দেশগুলোর জন্য অর্থদণ্ডের বিধান রেখে ইইউ-র অভিবাসন আইন সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাহী পরিষদ প্রতি ব্যক্তির জন্য দুই লাখ ৫০ হাজার ইউরো জরিমানা ধার্য করার পরিকল্পনা করছে। যদিও এ প্রস্তাবে বেশিরভাগ সদস্য দেশেরই অনুমোদন প্রয়োজন হবে।
২০১৫ সালে মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিক্ষুব্ধ দেশ এবং এশিয়া ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশ থেকে লাখ লাখ শরণার্থী ইউরোপে প্রবেশ করে। ওইসব শরণার্থীর অধিকাংশেরই লক্ষ্য ছিল জার্মানিসহ পশ্চিম ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় গ্রহণ করা। ওই সময় দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়ার অংশ হিসেবে ইউরোপীয় কমিশন ইইউভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে এক লাখ ৬০ হাজার শরণার্থীকে ভাগ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু ইইউ ভূক্ত অনেক দেশ নিজেদের ভাগের শরণার্থীদের দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানায়।
নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, একটি দেশ আশ্রয়প্রার্থীদের ক্ষেত্রে নিজেদের বার্ষিক 'ফেয়ার শেয়ার' এর ১৫০ শতাংশের বেশি আশ্রয়প্রার্থীকে গ্রহণ করলে স্থানান্তরের পরিকল্পনা ঠিকঠাক মত বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। প্রতিটি দেশের জনসংখ্যা ও অর্থনীতির বিচারে তাদের ভাগের শরণার্থীর সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে।
কমিশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ফ্রানস টিমেরম্যঅন্স বলেন, 'খুব সাধারণভাবে বলতে গেলে এ ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। শরণার্থীর চাপে যদি কোনও দেশ আকণ্ঠ নিমজ্জিত হয় তবে ইইউ ভূক্ত অন্যান্য দেশগুলোকে সংহতি প্রকাশ করতে হবে এবং তাদের ভাগের ন্যায্য দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে।'
যেসব দেশ নিজেদের কোটা পূরণে অস্বীকৃতি জানাবে তাদের জরিমানা করা হবে এবং ওই অর্থ ইতালি ও গ্রিসের মত দেশ যারা বেশির ভাগ শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে তাদের দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। বিবিসি।


No comments:
Post a Comment