স্ত্রীকে ভারতের পতিতালয়ে বিক্রির দায়ে মেছের আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মিয়া মোহাম্মদ আলী আকবার আজিজীর আদালত এ সাজা দেন।
দণ্ডিত মেছের আলী পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তারের পর থেকে এ রায় কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে আদালত। তিনি কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানী গ্রামের বেলাল হোসেনের কন্যা আয়েশা খাতুনের বিয়ে হয় পাশ্ববর্তী কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে মেছের আলীর সাথে। বিয়ের এক বছর না পেরুতে ১৯৯৯ সালের ২৩ জুন স্বামী মেছের আলী স্ত্রী আয়েশাকে ফুলবাড়ি উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতের শিলিগুড়িতে অবস্থিত একটি পতিতালয়ে বিক্রি করে দেন। সেখানে সাড়ে ৩ বছর থাকার পর আয়েশা কৌশলে বাংলাদেশে তার বাবার বাড়িতে চলে আসেন। এরপরে ২০০৫ সালের ৬ এপ্রিল এ ঘটনায় তিনি নিজে বাদী হয়ে হাতীবান্ধা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এর পরে দীর্ঘদিন বিচারকাজ চলার পর আজ বুধবার আদালত মেছের আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন।

No comments:
Post a Comment