Social Icons

Saturday, October 1, 2016

সরকার চাইলে ৬০/৮০ হাজার টাকায় ব্রাজিলে শ্রমিক পাঠানো সম্ভব

পৃথিবীর যে কোনো দেশে যেতে চাইলে শ্রমিকদের ২০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকার বেশি লাগবে না। যদি বিমান ভাড়া না লাগে তা হলে ২০ হাজার টাকাতেই হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বর্তমান সময়ের এক মন্ত্রী।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাবমতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে মোট প্রবাসী-আয় এসেছে ১ হাজার ২২৫ কোটি ডলার। গত বছর একই সময়ে এসেছিল ১ হাজার ২৫৫ কোটি ডলার। 
১১৯ কোটি ডলার এসেছে, যা আগের মাসের তুলনায় ৯ কোটি ডলার কম।

গত এপ্রিল মাসে  সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম  বলেন, প্রবাসী-আয় বেসরকারি খাতের ভোগ বাড়াতে যথেষ্ট মাত্রায় সহায়তা করে। জিডিপি গণনায় একটি বড় অংশই আসে বেসরকারি খাতের ভোগ থেকে। তাই প্রবাসী-আয় নেতিবাচক হলে বছর শেষে জিডিপিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

মির্জ্জা আজিজ আরও বলেন, ‘সাধারণত দারিদ্র্যসীমার একটু ওপরের মানুষই প্রবাসী-আয় বেশি পান। এখন যদি প্রবাসী-প্রবাহ কমে যায়, তবে ওই শ্রেণির মানুষের আবার দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবাসী-আয়ের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ১০ কোটি ডলার কম এসেছে। এরপর গত ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবাসী-আয় কখনো নেতিবাচক, কখনো ইতিবাচক প্রবৃদ্ধিতে ছিল। মূলত ওই সময়ে দুটি ঈদ উৎসব ছিল, তাই রেমিট্যান্স কিছুটা বেশি এসেছে। কিন্তু গত জানুয়ারি মাস থেকে সেই ধারাবাহিকতা আর ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। গত চার মাসের (জানুয়ারি-এপ্রিল) প্রতি মাসেই আগের বছরের তুলনায় কম অর্থ এসেছে।

গত এপ্রিলে সরকারি খাতের সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসী-আয় এসেছে ৩৬ কোটি ৪৯ লাখ ডলার। বেসরকারি খাতের ৩৯টি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৮০ কোটি ৭১ লাখ ডলার। বিদেশি খাতের ৯টি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১ কোটি ৩৩ লাখ ডলার। একক ব্যাংক হিসেবে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে—৩০ কোটি ৪২ লাখ ডলার।
প্রবাসীরা ঠকছেন: ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশে টাকার মান দীর্ঘদিন ধরেই শক্ত অবস্থানে আছে। টাকার মান বেড়েছে। এর মানে হলো, প্রবাসীরা ডলার পাঠিয়ে আগের চেয়ে কম টাকা পান। দুই বছর আগে প্রবাসীরা এক ডলার পাঠালে ৮০ টাকা পেতেন। এখন পান ৭৮ টাকা।
সেই হিসাবে, এ বছরের প্রথম ১০ মাসে ১ হাজার ২২৫ কোটি ডলার পাঠিয়ে প্রবাসীরা কমবেশি ৯৫ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা পেয়েছেন। দুই বছর আগে একই পরিমাণ ডলার পাঠিয়ে ৯৮ হাজার কোটি টাকা পেতেন তাঁরা। এর মানে হলো, শুধু মুদ্রা বিনিময়ের হারের কারণেই দুই বছরের ব্যবধানে আড়াই হাজার কোটি টাকা কম পেয়েছেন প্রবাসীরা।

অন্য দিকে নতুন কোন দেশে সরকার শ্রমিক পাঠাতে পারছে না।  যেহেতু বাংলাদেশে বেকারত্ব বেশি  সেই ক্ষেত্রে শ্রম বাজার বৃদ্ধিতে বৈদেশিক শ্রম বিনিয়োগ করে দেশীও আয় অর্জন করতে পারে ।
এসব সুযোগ কাজে লাগিয়ে দালালরা সহজ সরল বিদেশগামীদের নানাভাবে প্রলোভনে মাধ্যমে প্রভাবিত করে।
সরকার টু সরকারের মধ্যকার চুক্তির মধ্য দিয়ে যদি ব্রাজিলে শ্রমিক পাঠানো যায় তাহলে ৬০/৮০ হাজার টাকায় এক জন শ্রমিক ব্রাজিল আসতে পারবেন । বর্তমানে ব্রাজিলে প্রবাসীদের যথেষ্ট চাকুরি ও ব্যবসার সুযোগ রয়েছে । প্রবাসী-আয় বা রেমিট্যান্স বাড়াতে বাংলাদেশের সরকারের এই মুহূর্তে ব্রাজিলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও ভাল করা দরকার ।










No comments:

Post a Comment

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates