ব্রাজিলের অবস্থানরত বাঙালী প্রবাসীরা কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে বৈধ উপায়ে ব্যবসা-বাণিজ্য বা চাকুরী করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে নিজের আর্থিক সংকট মেটানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতির চাবিকাঠি সচল রাখে।
বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে অন্য সব দেশের মত ব্রাজিল প্রবাসীরাও গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। এতো বড় অবদানের প্রেক্ষিতেও যখন সাময়িক সমস্যা এই উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় আর কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না।
মূলত ব্রাজিল প্রবাসীদের কয়েকটি সমস্যা তাদের জন্য কঠিন বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তা হল সেখানে অবস্থান অধিকারস্বরুপ পাসপোর্ট এর মেয়াদ বাড়ানো, নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন এবং ডিজিটাল পাসপোর্টে তৈরীর কোনো সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে না এমনকি এর কোনো অভিযোগ করা হলেও আশানুরুপ ফল নেই।
এই সমস্যার ভুক্তভোগি বলা যায় মোটামুটি পুরো ব্রাজিল প্রবাসী বাঙালীদের।
অনেকেই এই সমস্যা মোকাবেলায় ব্যবস্থা নিলেও এর কোনো সুরাহা হচ্ছে না। সম্প্রতি ব্রাজিল সাও পাওলোর বসবাসরত বাঙালীরা পাসপোর্ট নিয়ে এই সমস্যা সমাধানে ব্রাজিলে নিয়োগপ্রাপ্ত বাঙালী এম্বাসিডর বা রাষ্টদূতের কাছে এই অভিযোগ জানালেও তারা কোনো আশা দেখাতে পারে নি।
এছাড়া কয়েকজন বাঙালী ভাইদের উদ্যেগেকে একটি সভায় এম্বাসিডরকে আমন্ত্রন করা হয়েছিল । এই সভায় উপস্থিত ছিলেন ব্রাজিল প্রবাসীরা ।
কিন্তু ব্রাজিলে বাংলাদেশের রাষ্টদূত রাষ্ট্রদূত মিজারুল কায়েস এই সভায় বিভিন্ন অজুহাতে উপস্থিত হতে পারেননি। তার পরিবর্তে পাঠানো হয় বাংলাদেশ এম্বাসির প্রথম কার্যনির্বাহক হছক্রিতি চাকমাকে তবে তিনি এই নিয়ে কোনোরূপ আশা ব্যক্ত করতে পারেননি। এখন প্রশ্ন হলো এটা কি বাংলাদেশ সরকারের কোনো চাপ নাকি নিতান্তই রাষ্ট্র দূতের বেখেয়ালিপনা।
।
সম্প্রতি ব্রাজিল প্রবাসী বাঙালিরা বিক্ষোপ সমাবেশ করেছেন।
No comments:
Post a Comment