ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুল থেকে ইসলামিক স্টেটকে উৎখাতের ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু হয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলোর বিমান হামলার সাহায্য নিয়ে ৩৪ হাজার ইরাকি সেনা, শিয়া মিলিশিয়া এবং পাঁচ হাজার কুর্দি যোদ্ধা চারদিক দিয়ে মসুলের দিকে এগুচ্ছে।
সোমবার থেকে শুরু এই অভিযানের সম্ভাব্য পরিণতি নিয়ে উদ্বিগ্ন ইউরোপ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিরাপত্তা বিষয়ক কমিশনার জুলিয়ান কিং জার্মান পত্রিকা ডি ভেলটকে দেয়া এক সাক্ষাৎকার বলেছেন, বিতাড়িত জিহাদিদের অনেকেই ইউরোপে ঢুকে পড়তে পারে।
তিনি বলেন, পালানো জিহাদিদের অল্প কিছু ঢুকলেও 'চরম হুমকি' তৈরি হবে। ‘আমাদের প্রস্তুত হতে হবে।’ বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য বলছে, মসুলে যে পাঁচ হাজার আইএস যোদ্ধা রয়েছে, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় ইউরোপীয় মুসলিম রয়েছে।
জুলিয়ান কিং বলেন, মসুলে ইউরোপীয় মুসলিম জিহাদিদের সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। তিনি বলেন, এরা সবাই যে পালিয়ে ইউরোপে ঢুকতে পারবে তা হয়ত নয়, কিন্তু অল্প কিছু ঢুকলেও বিপদ তৈরি হবে।
মসুলে ১৫ লাখের মত বেসামরিক লোকের বসবাস। জাতিসংঘ এবং অন্যান্য ত্রাণ সংস্থা সাবধান করছে, চলতি সামরিক অভিযানের ফলে আগামী কয়েক সপ্তাহ বা মাসে ১০ লাখ লোক বাস্তুচ্যুত হতে পারে।
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ভয় পাচ্ছে, আইএস জঙ্গিরা বেসামরিক লোকজনকে মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করার জন্য তাদেরকে আটকে রাখার চেষ্টা করবে।
আবার অনেক যোদ্ধা বেসামরিক লোকজনের ছদ্মবেশে নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে। সেটাই ইউরোপের ভয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র পিটার কুক বলেছেন, মসুলে আই এসের কয়েক হাজার যোদ্ধা পালানোর চেষ্টা করবে, নাকী শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে - তা এখনও বোঝা যাচ্ছেনা। বিবিসি
No comments:
Post a Comment