বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাজেটের সমালোচনা করে বলেছেন, পুরো বাজেটটিই হচ্ছে নিজেদের পকেট ভর্তি করার জন্য। এরা জনগণের পকেট কেটে নিজেদের পকেট ভর্তি করবে। এই বাজেট সাধারণ মানুষের কোনো কল্যাণ তো করবেই না, উপরন্তু সাধারণ মানুষের জন্য একটা বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। একটা বার্ডেন হয়ে দাঁড়াবে। সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয়। এ কারণেই সাধারণ মানুষের ওপর করের বোঝা চাপানো হয়েছে। বাজেটে সরকার যেভাবে মানুষের ওপর মাত্রাহীন করের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে তাতে মানুষের দুঃখ-কষ্টের কোনো সীমা থাকবে না।
তিনি বলেন, সরকারি দলের নেতাদের পকেট ভারী করতেই প্রস্তাবিত বাজেটে বড় প্রকল্পের নামে বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বর্তমান সরকারের কোনো জবাবদিহীতা ও দায়বদ্ধতা নেই বলে তারা যেমন ইচ্ছে তেমন করছে।
জিয়াউর রহমানের ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী প্রকাশনা সংস্থা ও জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের উদ্যোগে শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুস্তক প্রদর্শনী-২০১৭ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মাসব্যাপী এই পুস্তক প্রদর্শনী চলবে।
ফখরুল বলেন, বাজেটে ৩০টি মেগা প্রজেক্ট নেয়া হয়েছে। এই মেগা প্রজেক্টগুলোতে মেগা কস্টিং হবে। সেই মেগা কস্টিংয়ে মেগা দুর্নীতি হবে। মেগা পকেট ভারী হবে। পুরো বাজেটটিই হচ্ছে আজ নিজেদের পকেট ভর্তি করার জন্য। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে জনগণের পকেট কাটবে, নিজেদের পকেট ভর্তি করবে, এই হচ্ছে অবস্থাটা। এটা হচ্ছে খুবই উচ্চস্তরের পকেট মারার মতো অবস্থা।
তিনি বলেন, শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য খাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতকে অবহেলা করে মেগা প্রজেক্টগুলোর জন্য বড় বাজেট দিয়ে মেগা দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি করছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, অনৈতিক সরকার নতুন একটি বাজেট সাধারণ মানুষের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। আজকের পত্রিকাগুলো দেখবেন সেখানে বিভিন্ন কার্টুন ছাপিয়ে বাজেটে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের বিষয়টি প্রকাশ করা হয়েছে। এই বিশাল বাজেট জনগণের কোন কল্যাণ বয়ে আনবে না বরং এটি বিশাল একটি বোঝা।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের বাজেট দেয়ার অধিকার নেই। তাদের জনগণের কাছে কোনো জবাবদিহিতা নেই। সংসদে কোনো বিরোধী দল নেই। সংসদেও তাদের জবাবদিহিতা নেই। শিক্ষাখাতে দুরাবস্থার কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন,শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য খাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতকে অবহেলা করে মেগা প্রজেক্টগুলোর জন্য বড় বাজেট দিয়ে মেগা দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি করছে। আর স্বাস্থ্যখাতে নর্দমার মতো অবস্থা।
No comments:
Post a Comment