টিম পার্ফর্মেন্স কাকে বলে তা প্রায় প্রতি ম্যাচেই যেন বুঝিয়ে দিচ্ছে খুলনা টাইটানস। ব্যাটিংয়ে নেমে বড় কোনো স্কোর করতে পারেনি কেউ, বল হাতেও কেউ ধ্বংসাত্মক হয়ে উঠতে পারেনি।
তবু জয়ী দলের নাম খুলনা টাইটানস। এমন দারুণ টিম পারফর্মেন্সে তামিম ইকবালের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস আজ হেরে গেল ১৪ রানে। যদিও এই জয়-পরাজয়ে শেষ চারের লড়াইয়ে থাকা দলগুলোর কোনো পরিবর্তন হয়নি।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৭৫ রানের টার্গেট ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১ রানেই ধাক্কা খায় কুমিল্লা। মাহমুদ উল্লাহর বলে বোল্ড হয়ে যান সলোমন মির (০)। এরপর অধিনায়ক তামিম ইকবাল এবং ইমরুল কায়েস মিলে জুটি বেশ জমিয়ে তুলেছিলেন। দ্বিতীয় উইকেটে ৬৩ রান আসার পর হাওয়েলের বলে ব্র্যাথওয়েটের তালুবন্দি হন ইমরুল (২০)। জস বাটলার আবারও ব্যর্থ। এই ইংলিশ তারকা ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন মাত্র ১১ রান করে।
তবে শোয়েব মালিক এবং মারলন স্যামুয়েলসের ব্যাটে ভর করে জয়ের পথে এগিয়ে যেতে থাকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। ২৩ বলে ৩৬ রান করা শোয়েব মালিককে মোহাম্মদ ইরফান মাহমুদ উল্লাহর তালুবন্দি করলে আবারও বিপাকে পড়ে কুমিল্লা। নতুন ব্যাটসম্যান গ্রিমি ক্রেমারকে (০) প্রথম বলেই প্যাভিলিয়নে পাঠান আবু জায়েদ রাহী। ম্যাচ থেকে ওই সময়ই স্পষ্টত ছিটকে যায় কুমিল্লা।
এর আগে আজ মঙ্গলবার দিনের প্রথম খেলায় টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৪ রান তুলে খুলনা টাইটানস। রিয়াদের দলের সূচনা ছিল দারুণ। দুই ওপেনার মিলে ৫৫ রানের জুটি গড়েন। অবশেষে আল-আমিন হোসেন ২১ বলে ৩৭ করা নাজমুল হোসেন শান্তকে বোল্ড করে দিলে ভাঙে এই জুটি। কিন্তু খুলনার রানের চাকা ঘুরেই চলছিল। ২৮ বলে ২৯ করা ওপেনার মাইকেল ক্লিঞ্জার মিরের বলে তামিমের হাতে ক্যাচ দিলে দ্বিতীয় উইকেট হারায় খুলনা।
খুলনা অধিনায়ক মাহমুদ উল্লাহ আজও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ২৩ বলে ২৩ রান করে আল-আমিন-হোসেনের বলে জস বাটলারের গ্লাভসবন্দী হয়েছেন। নিকোলাস পুরানও আজ ৮ রান করে শোয়েব মালিকের শিকার হয়েছেন। আরিফুলের ব্যাটে আজও রান এসেছে। ২১ বলে ৩৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন আল-আমিনের বলে। নির্ধারিত ২০ ওভারে খুলনার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৭৪ রান।
No comments:
Post a Comment