Tuesday, December 22, 2015
নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা ন্যাক্কারজনক হয়ে থাকবে : রিজভী
পৌর নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সেনাবাহিনী মোতায়েনের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অবনতিশীল আইন শৃঙ্খলা অবস্থা সামলানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে সহায়তা চাওয়া কমিশনের আত্মবিলুপ্তির আরেকটি নিদর্শন। এটি যেন হরিণের নিরাপত্তার জন্য বাঘের কাছে সহায়তা চাওয়া। তিনি বলেন, পৌর নির্বাচন নিয়ে আপনাদের (ইসি) এখন পর্যন্ত গৃহীত কোনো পদক্ষেপই মানুষের কাছে আস্থা সৃষ্টি করতে পারেনি, বরং সরকারী দুষ্কর্মের সাথী হিসেবে ইতিহাসে আপনাদের ভূমিকা এক ন্যাক্কারজনক অধ্যায় হিসেবে চিত্রিত হয়ে থাকবে। রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সারাদেশে পৌর নির্বাচনের বিভিন্ন সহিংসতা ও বিরোধী প্রার্থীদের হয়রানির খবর জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, সানাউল্লাহ মিয়া, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, আব্দুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ। রুহুল কবির রিজভী বলেন, ক্ষমতাসীন দলের ল্যাবরেটরিতে উৎপন্ন সন্ত্রাস শব্দটি স্বমহিমায় বিরাজমান। রাষ্ট্র ও সমাজের সকল ক্ষেত্রে দুর্বৃত্তায়ন বাড়তে বাড়তে দেশকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ধ্বংসস্তুপের দিকে। অবৈধ ক্ষমতাসীনরা নিজেদের পৌষ মাস টিকিয়ে রাখতে গণতন্ত্রের সর্বনাশ ঘটিয়েছে। তিনি বলেন, পৌর নির্বাচনে বিভিন্ন স্থানে বিএনপির প্রার্থীদের প্রচারণায় বাধা দেয়া হচ্ছে। এসব ঘটনায় স্থানীয় রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছেনা। নির্বাচন কমিশন এখনো পর্যন্ত জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারেনি বরং সরকারের অপকর্মের সঙ্গী হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। রিজভী বলেন, ময়মনসিংহ জেলাধীন গফরগাঁও পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এক কাউন্সিলর প্রার্থী অপর এক আওয়ামী লীগ কাউন্সিলর প্রার্থীর মাকে হত্যা করে। কিন্তু মামলায় উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে পৌর ছাত্রদল আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক, পৌর তাঁতী দল আহবায়ক রমজান আলী, পৌর বিএনপি নেতা ও কমিশনার প্রার্থী মো: মোতালেব হোসেন, পৌর ছাত্রদল কর্মী সাইফুল ইসলাম ও পৌর যুবদল কর্মী মো: শাকিল মিয়ার নামে মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, কুমিল্লার চান্দিনা পৌর নির্বাচনে বিএনপির নির্বাচনী মিটিংয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। রিজভী বলেন, পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রংপুরে ৫৮, যশোরে ৪৪, মেহেরপুরে ২১, লালমনিরহাটে ৪২, সাতক্ষীরায় ৩০ এবং গাইবান্ধায় ৩০ জন বিএনপি নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এভাবে আমাদের প্রায় সব পৌর সভায় নেতা কর্মীদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। এ ছাড়া ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ড ও শৈলকুপা, শরীয়তপুরের ডামুড্যা ও ভেদরগঞ্জ, পটুয়াখালীর কলাপাড়া এবং কুয়াকাটা, নরসিংদীর মাধবদী, টাঙ্গাইলের মধুপুর, মাগুরা, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, সিরাজঞ্জ সদর, কুমিল্লার চান্দিনা পৌরসভার নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থীর লোকজন বিএনপি নেতাকর্মীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং এক সাংবাদিককে কিলঘুষি মেরে তার ক্যামেরা কেড়ে নিয়েছে। বিভিন্নস্থানে আটক এবং কারাবন্দি নেরতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন রিজভী।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment