Monday, December 21, 2015
বিশ্বের ১০টি ভয়ঙ্কর রেলস্টেশন
কখনও কোনও শুনশান রেল স্টেশনে রাতের বেলা ট্রেন থেকে নেমে দেখেছেন কেমন লাগে? নাকি, গান ছমছম গল্পগুলো শুধুই গল্পের বইয়ের পাতায় পড়েছেন আর দুঃস্বপ্নে ঘুম ভেঙে গিয়েছে? তবে গল্প হলেই এই দুনিয়ায় কিন্তু সবই সত্যি। বিশ্বের এমন কয়েকটি স্টেশনের কথা জেনে নিন যেখানে যাওয়ার আগে দু'বার ভাবতে হবে আপনাকে। বেগুনকোদোর স্টেশন, পুরুলিয়া পুরুলিয়া শহর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই স্টেশন। ১৯৬৭ তে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। জানা যায়, এক মহিলাকে সাদা শাড়ি পরে হেঁটে যেতে দেখেছিলেন এক রেলকর্মী। তারপরই ওই কর্মীর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর বন্ধ রাখা হয়েছিল ওই স্টেশন। এরপর ২০০৯ সালে ফের খোলে ওই স্টেশন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন,'আমি ভুতে বিশ্বাস করি না। সবটাই ম্যান-মেড।' এরপরই খুলে দেওয়া হয়েছে স্টেশনটি। কিন্তু, মানুষজন এখনও পারতপক্ষে ওই স্টেশনের দিকে যায় না। রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশন খাস কলকাতার বুকেও ভূত! হ্যাঁ, রবীন্দ্র সরোবর স্টেশন নিয়ে এমনই একটা গল্প প্রচলিত রয়েছে। তাই শেষ মেট্রো টা এড়িয়ে চলেন অনেকেই। ঠিক রাত সাড়ে ১০ টায় যে মেট্রোটা ওই স্টেশনের উপর দিয়ে যায় সেই মেট্রোর অনেকেই দেখেছেন ওই সময় একটি ছায়ামূর্তি চলে যায় রেল ট্র্যাকের উপর দিয়ে। কাওবাও রোড সাবওয়ে স্টেশন, চীন ভূতুড়ে স্টেশনের কথা বললেই অবশ্যই উল্লেখ করতে চিনের এই মেট্রো স্টেশনের কথা। বিশ্বের অন্যতম ভয়ঙ্কর স্টেশন এটি। এই স্টেশনের ১ নম্বর লাইনটি আর কোরিয়ান ভূতের ছবির মধ্যে বিশেষ কোনও তফাৎ নেই। কি না হয় সেখানে। ট্রেন ভেঙে পড়ে, যাত্রীরা ছায়ামূর্তি ঘোরাফেরা করতে দেখেন সেখানে। এমনকী প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা অনেককে অদৃশ্য হাত ঠেলা মেরে লাইনে ফেলে দিয়েছে এবং তাদের মৃত্যুও হয়েছে। অ্যাডিসকম্ব রেল স্টেশন, ব্রিটেন এই স্টেশনটা দেখার সৌভাগ্য আর হবে না আপনার। কারণ ২০০১ -এ এটা মাটির তলায় চলে গিয়েছে। তার আগে পর্যন্ত ওই স্টেশন ও সংলগ্ন এলাকায় দেখা যেত ছায়ামূর্তি। ওই এলাকায় এক ট্রেন চালক আত্মহত্যা করেন। তারপর থেকে তাঁকে অনেকেই ঘুরতে দেখেছেন ওই জায়গায়। ওয়াটারফ্রন্ট স্টেশন, কানাডা কানাডার এই স্টেশন ভূতুড়ে জায়গার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। ওই স্টেশনের অনেক গার্ডই বিভিন্ন সময় ভূতুড়ে কাজকর্ম করে থাকেন। ভূতুড়ে মূর্তি চলাফেরা করতে দেখাটা খুবই সাধারণ ওই স্টেশনে। নাইট গার্ডদের অনেকেই সেরকম দেখেছেন। এক রেলকর্মীর ভূত নাকি ওই ট্রেকে প্রায়ই ঘোরাফেরা করে বলে শোনা যায়। প্যান্টেওনেস মেট্রো স্টেশন, মেক্সিকো মেক্সিকোর এই মেট্রো স্টেশনের ২ নম্বর ট্র্যাক নিয়ে অনেক গল্প প্রচলিত আছে। স্টেশনের টানেলে প্রায়ই শোনা যায় আর্তনাদ। আর ছায়ামূর্তির ঘোরাফেরা তো আছেই। দেওয়াল থেকে শোনা যায় পায়ে হেঁটে চলার শব্দ। আর ওই টানেলের অন্ধকার কোনটার দিকে বেশিক্ষণ না তাকানোই ভাল। বিসান এমআরটি স্টেশন, সিঙ্গাপুর বি সান তেং সিমেট্রির উপর তেরি হয়েছিল এই স্টেশন। ১৯৮৭ তে খোলে এই স্টেশন। আর তারপরই শুরু ভূতের নৃত্য। কখনও কখনও মহিলাদের দিকে এগিয়ে আসে অদৃশ্য হাত আবার কখনও কখনও মুণ্ডহীন দেহের যাত্রী দেখা যায় মেট্রোর ভিতরে। তবে সবথেকে সাংঘাতিক অবস্থা হ যখন চলন্ত ট্রেনের উপর কারও দৌড়ে যাওয়ার আওয়াজ শুনতে পান যাত্রীরা। মাকারিজ ফিলস স্টেশন, অস্ট্রেলিয়া এই স্টেশনে নাকি দেখা যায় এক কিশোরীর ভূত। যে একতা রক্তমাখা কাটা হাত নিয়ে ঘুরতে থাকলে স্টেশনে। আর চীৎকার করতে থাকে। তার চীৎকারের জোর ক্রমশ বাড়তে থাকে। আবার কখনও কখনও রেল ট্র্যাকেও নেমে যেতে দেখা যায় তাকে। ইউনিয়ন স্টেশন, আমেরিকা স্টেশনএই আছে ভূতের অফিস। হ্যাঁ, মৃত এক রেলকর্মী। ফ্রেড বলেই তাঁকে চেনে সবাই। তাঁর জন্য একটা আস্ত ঘরও রয়েছে। সেই ঘরে ঢোকেন না অন্য কর্মীরা। তিনি এখনও ওখানেই বাস করেন বলে বিশ্বাস করা হয়। গ্লেন ইডেন রেল স্টেশন মৃতদেহ বয়ে নিয়ে যাওয়ার ট্রেন পাস করার জন্যই তৈরি হয়েছিল এই স্টেশন। ২০০১ এ সেটা পুনর্নির্মান করা হয়। সেখানে তৈরি হয় একটি ক্যাফেটেরিয়া। আর সেখানে নিয়মিত আসেন এক ব্যক্তি। যিনি নাকি ১৯২৪ সালেই পরলোকগমন করেছেন। এছাড়াও আরও অনেক ভূতুড়ে মূর্তি দেখেছেন অনেক যাত্রীই।
Labels:
আন্তর্জাতিক
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment