মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাহমিনা সিদ্দিকীসহ কালকিনি উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে বুধবার সন্ধ্যায় স্থানীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নেতাকর্মীরা গণপদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন।
উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের মতামত ছাড়া কালকিনিতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোপনে কোটি টাকার বিনিময় বিতর্কিত মেয়রপ্রার্থী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ইমারাত হোসেনের ভাই বর্তমান মেয়র মো. এনায়েত হোসেন হাওলাদারকে মনোনয়ন দিয়েছে বলে অভিযোগ এনে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলন সূত্রে জানা যায়, কালকিনি উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা মেয়র পদে কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিলুর রহমান সোহাগ তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও খায়রুল আলম খোকন বেপারি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির সহ-সম্পাদক সোহেল রানা মিঠু ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অহেদুজ্জামান বুলেটের নাম প্রস্তাব করে জেলা কমিটির কাছে পাঠান।
পরবর্তীতে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে কাউকে না জানিয়ে একক সিদ্ধান্ত মতে তার পছন্দের প্রার্থী কালকিনি পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ইমারত হোসেন হাওলাদারের ছোট ভাই বর্তমান মেয়র এনায়েত হোসেন হাওলাদারের নাম কেন্দ্রে প্রস্তাব করে মনোনয়ন দেন।
এ মনোনয়নের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও পৌর আওয়ামী লীগ। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাহমিনা সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক মীর গোলাম ফারুক, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিলুর রহমান সোহাগ তালুকদার, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দুলাল, সাধারণ সম্পাদক আশ্রাফ বেপারী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির সহ-সম্পাদক সোহেল রানা মিঠু, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অহেদুজ্জামান বুলেটসহ সহস্রাধিক নেতা-কর্মী। তারা সবাই এই ঘটনার প্রতিবাদে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর গোলাম ফারুক অভিযোগ করে বলেন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ইমারাত হোসেনের ভাই মো. এনায়েত হোসেনকে মনোয়ান দেওয়ায় আমরা এ পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের প্রস্তাবকৃত প্রার্থীকে মনোয়ন না দিলে আমরা মনে করব আমাদের পদত্যাগ গৃহীত হয়েছে। আমরা নিজেরাই আওয়ামী লীগের প্রার্থী দিয়ে নির্বাচন করব।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে বলেন, মনোনয়ন দেওয়ার মালিক আমি না। মনোনয়ন দেওয়ার মালিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment