গত ১৪ মাসে সিরিয়া ও ইরাকে দখল করা ২২ শতাংশ ভূমি হারিয়েছে তথাকথিত জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। সম্প্রতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইএইচএস-র উদ্যোগে করা এক বিশ্লেষণে এমন ধারণা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এতে বলা হয়, তুর্কি-সিরীয় সীমান্তের উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর থেকে আইএস তেল চোরাচালান থেকে আসা আয়ের ৪০ শতাংশ হারায়। নিরাপত্তা সূত্রগুলো বিবিসি নিউজনাইটকে জানিয়েছে, সিরিয়ায় যুদ্ধ করতে যাওয়া যুক্তরাজ্যের জিহাদিদের সংখ্যাও আগের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সিরিয়ায় দখলকৃত এলাকা হারানোর পাশাপাশি আইএসের বেশ কয়েকজন শীর্ষ পর্যায়ের নেতা নিহত অথবা বন্দি হওয়ায় তাদের প্রচার-প্রচারণাও দুর্বল হয়ে পড়েছে।
তিনমাস আগে আইএইচএস-র গবেষণা শুরুর পর্যায়ে আইএস জঙ্গিরা ৮ শতাংশ এলাকার দখল হারিয়েছিল। সিরিয়ার বিদ্রোহে যোগ দেওয়ার জন্য বিদেশিদের সিরিয়া গমন এখনও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। তবে সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে অনেক। এ পর্যন্ত যুক্তরাজ্য থেকে আটশ’রও বেশি মানুষ সিরিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন। এদের অধিকাংশই আইএসে যোগ দিয়েছেন। এদের মধ্যে ১০০ জন নিহত হয়েছেন, অন্যদের মধ্যে ৩৫০ জন যুক্তরাজ্যে ফিরে গেছেন।
স্থল লড়াইয়ে ভূমি হারানোর পর আইএসের তহবিলও সঙ্কুচিত হয়ে আসছে। আইএইচএসের গবেষক দলের প্রধান জানিয়েছেন, নিজেদের শক্তিকেন্দ্র রাক্কার উত্তরে তুর্কি সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর কালোবাজারে তেল বিক্রি করে অর্থ সংগ্রহ করা আইএসের জন্য বেশ কঠিন হয়ে গেছে।
যখন সীমান্তটি আইএসের নিয়ন্ত্রণে ছিল, চোরাচালানিরা তেল কিনতে দক্ষিণে যেত এবং ট্যাঙ্কার ভর্তি করে তেল নিয়ে তুর্কি সীমান্ত পার হতো। কিন্তু এখন সীমান্তটি কুর্দি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে তাই তেল রপ্তানি প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। মঙ্গলবার প্রকাশিত কয়েকটি প্রতিবেদনে আইএসের অন্যতম শীর্ষ চেচেন কমান্ডার ওমর আল শিশানি মার্কিন বিমান হামলায় আহত হওয়ার পর মারা গেছেন বলে জানানো হয়েছে। এর আগে ইরাকে মার্কিন বিশেষ বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন আইএসের রাসায়নিক অস্ত্র বিশেষজ্ঞ স্লেইমান দাউদ আল আফারি। বিবিসি।
No comments:
Post a Comment