বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সব রেকর্ড ভঙ্গ করে সর্বাধিক ফাঁসির আসামিকে দণ্ড থেকে রেহাই দেয়া হয়েছে। এই রেহায় পাওয়া বেশিসংখ্যক আসামি, যারা আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, তারা রাষ্ট্রপতির ক্ষমায় মৃত্যুদণ্ড থেকে অব্যাহতি পেয়েছে।’
তিনি বলেন, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমনে মরিয়া হয়ে উঠলেও বড় বড় অপরাধে দণ্ডিত হয়েও বহাল তবিয়তে রয়েছেন শাসক দলের নেতাকর্মী ও মন্ত্রীরা। বরাবরই সংবিধান, আইনকানুন ও নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যাচ্ছেন তারা। অথচ মিথ্যা মামলায় বিরোধী দলের নেতাকর্মী এমনকি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাও জেলে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এক পরিসংখ্যান বলছে- স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত মোট ২৫ জন মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামি রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পেয়েছে। এর মধ্যে ২২ জন ক্ষমা পেয়েছে এই সরকারের আমলে। তিনি বলেন, এর আগে লক্ষ্মীপুরের বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডে আওয়ামী লীগের নেতা আবু তাহেরের ছেলের ফাঁসি মওকুফের ঘটনায় দেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। নাটোরের আলোচিত গামা হত্যা মামলায় আদালত ২০ আসামির দণ্ড দিলেও রাষ্ট্রপতি দণ্ড মওকুফ করে মুক্তি দেয়ার পর আওয়ামী লীগের নেতারা আসামিদের ফুল দিয়ে সংবর্ধিত করার দৃশ্য দেখে দেশবাসী হতবাক হয়েছে।


No comments:
Post a Comment