নিজের ক্ষেত্রকে ছাপিয়ে যাওয়া কিংবদন্তি বক্সার মোহাম্মদ আলীকে নিয়ে অনেকের অজানা কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো।
একাধিকবার নাম বদল: ১৯৬০ এর দশকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর কেন্টাকির তরুণ ক্যাসিয়াস ক্লে থেকে মোহাম্মদ আলী নাম নেওয়ার বিষয়টি অনেকেরই জানা। তবে খুব স্বল্প সংখ্যক মানুষই জানে যে, তার নাম প্রথমবার বদলে ক্যাসিয়াস এক্স হয়েছিল। এ তথ্য জানিয়েছেন তার আত্মজীবনী গ্রন্থের লেখক-দীর্ঘদিনের বন্ধু ডেভিস মিলার। তার দেওয়া তথ্য মতে, হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন সানি লিসটনকে হারানোর পরদিন ১৯৬৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে তার এই নাম বদল হয়। এর প্রায় দুই সপ্তাহ পর ৬ মার্চ তিনি ঘোষণা দেন, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতা ইলাইজা মোহাম্মদ তাকে নতুন নাম দিয়েছেন ‘মোহাম্মদ আলী’। মিলার মনে করেন, বর্ণবাদবিরোধী নেতা ম্যালকম এক্সের নাম ধরেই ক্যাসিয়াস এক্স নাম নিয়েছিলেন তিনি।
সুফিবাদী: ১৯৬৭ সালের ২৮ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানানোর পর আলীর শিরোপা কেড়ে নেওয়া হয়। সে সময় সেনাবাহিনীতে না যাওয়ার পিছনে ধর্মীয় কারণ দেখিয়েছিলেন তিনি। তরুণ বয়সে উগ্রবাদী আফ্রিকান আমেরিকান ইসলামীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল তার। তবে পরবর্তীতে মরমিবাদের দিকে ঝুঁকে যান তিনি।
২০১৫ সালের শেষদিকে প্রকাশিত ‘অ্যাপ্রোচিং আলী’র লেখক মিলার বলেন, ‘২০০৫ সালের দিকে আলী নিজেকে সুফি হিসেবে ঘোষণা করেন। ইসলামের সব ধারার মধ্যে সুফিবাদের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি যাওয়ার কথা বলেন তিনি।’
যোগাযোগের নতুন কায়দা:১৯৮৪ সালে ৪২ বছর বয়সে আলীর পারকিনসন রোগ ধরা পড়ার পর অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন কৌশল অবলম্বন করেন তিনি। তিনি হাত ও আঙুল, মুখের ভাব, চোখের ইশারার মাধ্যমে যোগাযোগ করতেন। এ সময় তিনি বুড়ো আঙুল দিয়ে শব্দ করে দর্শনার্থীদের চমকে দেওয়ার পাশাপাশি হাত মেলানোর সময় সুড়সুড়ি দেওয়া ছাড়াও প্রায় সবাইকে খ্যাপাতেন বলে জানান মিলার।
জাদুকর:মিলার বলেছেন, 'পারকিনসনসের বছরগুলোতে ভেল্কিবাজি (হাতের কৌশল) দেখিয়ে দর্শনার্থীদের আনন্দ দিয়েছেন আলী, যা কিছুদিন আগ পর্যন্তও তিনি করেছেন।


No comments:
Post a Comment