১৯৯৫-এর নভেম্বরে সারের কামবারলি ব্যারাকে রহস্য-মৃত্যু হয় প্রাইভেট শেরিল জেমসের। শেরিল তখন ১৮-র যুবতী। সদ্য সেনায় যোগ দিয়েছেন। নভেম্বরের এক রাতে মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ব্যারাকের মধ্যে ওই তরুণী নিজের রাইফেল থেকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেছেন, নাকি তাঁকে খুন করা হয়েছে, ধোঁয়াশা সেদিন থেকেই। যদিও, আত্মহত্যা বলেই তদন্তে চালানো হয়। কিন্তু, শেরিল জেমসের পরিবার প্রথম থেকেই সেই তদন্ত রিপোর্ট মানতে অস্বীকার করে।
সেনা বাহিবনীর তদন্ত রিপোর্টে যে গরমিল রয়েছে, তা-ও উল্লেখ করেন শেরিলদের আইনজীবী। আদালতে তিনি জানান, শেরিল জেমস মৃত্যুর তদন্ত শুরুই হয়েছিল, ঘটনার তিন সপ্তাহ পরে। কোনও সাক্ষীর বয়ান নেওয়া হয়নি। মেডিক্যাল রেকর্ডসও খতিয়ে দেখা হয়নি। এমনকী যে বুলেটটিতে তাঁর মৃত্যু হয়েছিল, সেটিও পরীক্ষা করে দেখা হয়নি। যুবতীর পরনের পোশাক, রাইফেলও পাঠানো হয়নি ফরেন্সিক পরীক্ষায়। যে কারণে রয়াল মিলিটারি পুলিশের এই তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। আইনজীবীর সেই আর্জির প্রেক্ষিতেই ২০১৪-য় হাইকোর্ট নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দেয়।
শেরিল শুধু একা নন। তাঁর মৃত্যুর পরেও ২০০২ পর্যন্ত সারের কামবারলি ব্যারাকে মোট চার জনের মৃত্যু হয়। একই রকম ভাবে। ওই চার জনই ছিলেন নবাগতা। ফলে, সন্দেহ আরও দানা বাঁধে।
মৃত তরুণীর পরিবারের নিয়োগ করা আইনজীবী অ্যালিসন ফস্টার আদালতে জানান, গুলিতে মৃত্যুর আগে শেরিলকে যে ধর্ষণ করা হয়েছিল, সে সাক্ষ্য তাঁরা জোগাড় করেছেন। সময়মতো তা আদালতে পেশ করা হবে। তাঁর দাবি, ঘটনার দিন রাতে এক সিনিয়র সেনা আধিকারিকের সঙ্গে শিরিলকে জোর করে শুতে বাধ্য করা হয়। তিনি সারারাত যৌননিগ্রহ করেন। শেরিলকে ধর্ষণ করা হয়। পরদিন তাঁর গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয়।-
No comments:
Post a Comment