শতবর্ষ পূর্তির বিশেষ কোপা আসরে প্রথম দল হিসেবে গ্রুপ ‘এ’ থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল যুক্তরাষ্ট্র। শেষ চারের মঞ্চে উঠতে প্রতিপক্ষ ইকুয়েডরকে ২-১ গোলে হারিয়েছে স্বাগতিকরা।
শুক্রবার সকালে ওয়াশিংটনের সেঞ্চুরিলিংক স্টেডিয়ামে ইকুয়েডরকে আতিথ্য দেয় যুক্তরাষ্ট্র। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে স্বাগতিকরা। ম্যাচের ২২ মিনিটে জার্মেইন জোন্সের পাস থেকে ঘরের মাঠের দর্শকদের উচ্ছ্বাসে মাতান ক্লিন্ট ডেম্পসি। প্রথমার্ধেই গোলের শোধ দিতে কিছুটা আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে ইকুয়েডর। কিন্তু বিশ্রামে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হওয়ায় ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় যুক্তরাষ্ট্র।
বিশ্রাম শেষে মাঠে নেমে রক্ষণ আগলে রেখে খেলতে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। এ সময় প্রতিপক্ষের জালে কয়েকবার বল পাঠানোর চেষ্টা করে দলটি। ৫২ মিনিটের মাথায় দু’দলই দশজনের দলে পরিণত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের আলেজান্দ্রো বেদোইয়াকে কড়া ট্যাকল দিতে গিয়ে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন অ্যান্তোনি ভ্যালেন্সিয়া। ম্যাচেও ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। ঠিক ওই সময়েই মাঠে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করায় সরাসরি লাল কার্ডের আওতায় পড়েন স্বাগতিক দলের তারকা মিডফিল্ডার জারমেইন জোনস।
ম্যাচের ৬৫ মিনিটে গায়াসি জারডেস গোল করে যুক্তরাষ্ট্রকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন। এই ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার পর কিছুটা বেপরোয়া হয়ে পড়ে ইকুয়েডর। ম্যাচের ৭৪ মিনিটে মাইকেল অ্যারোইয়োর লক্ষ্যভেদে ২-১ গোলে ব্যবধান কমায় সফরকারী ইকুয়েডর।
ব্যবধান কমানোর পর কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে ইকুয়েডর শিবিরে। আরও এক গোলে ব্যবধান সমান করার জন্য একের পর এক আক্রমণ শাণাতে থাকে দলটি। কিন্তু শেষপর্যন্ত কাজের কাজ কিছুই করতে পারেনি তারা। এই সময় গোলের বেশকয়েকটি সুযোগ পেয় তা নষ্ট করছে যুক্তরাষ্ট্র। ম্যচের শেষ সময় পর্যন্ত আর গোল না হওয়ায় ২-১ ব্যবধানের জয়ে সেমির টিকেট পেয়ে যায় জার্গেন ক্লিন্সম্যানের শিষ্যরা।
আগামী ২২ জুন বুধবার প্রথম সেমিফাইনালে মাঠে নামে যুক্তরাষ্ট্রে। ওই ম্যাচে তারা প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবে আর্জেন্টিনা ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার জয়ী দলকে।


No comments:
Post a Comment