Social Icons

Friday, June 17, 2016

স্বামী আমার চেয়ে ২০ বছরের বড়, জেনেই বিয়ে করেছি : কিন্তু বিয়ের পর…

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানিয়েছেন নিজের সমস্যার কথা।“আপু, আমার বয়স ২২ বছর। বিবিএ ফাইনালে পড়ি। এখন ড্রপ দিয়েছি। আমি বিবাহিতা। বিয়ে হয়েছে এক বছর হয়নি। আমার স্বামী ব্যবসায়ী। আমার স্বামীর সাথে আমার বয়সের তফাৎ ২০ বছর, সেটা আমি জেনে বিয়ে করেছি। আমাদের বিয়ের আগেই পরিচয় কিন্তু রিলেশন না তেমন। চিনতাম আর পরে ও আমাকে প্রপোজ করে।

আমি প্রথমে রাজী হইনি পরে অনেক খোঁজ খবর নিই ওর ব্যাপারে। সবাই অনেক ভালোই বলে। তারপর পরিবার ইচ্ছাতেই আমাদের বিয়ে হয়। এমনিতে আমার স্বামী মানুষ হিসেবে অনেক ভালো। অনেক কেয়ারিং। আপু, বলে রাখি আমি প্রেগন্যান্ট। আর জানুয়ারিতে আমার বেবি হবে।

এখন সমস্যা হল আমার শাশুর বাড়িতে ওদের জয়েন্ট ফ্যামিলি। বড় পরিবার। আর ঐ পরিবারের সব আর্থিক সাহায্য দেয় আমার স্বামী। যার কারণে আমাকে অনেক সাফার করতে হয়। ওর বড় ভাই, বোন একসাথে থাকে কিন্তু কোন আর্থিক সাহায্য করেনা। কিন্তু তারা সুন্দর জীবনযাপন করছে যা আমি পারিনা। এমনকি এখানে আমাকে সব চেয়ে বেশি কষ্ট করতে হয়। প্রেগন্যান্ট হবার পর আমার অনেক সমসয়া হয়েছে। আমি ৪তলায় থাকি। সেখান থেকে পড়ে গেছিলাম। কিন্তু, সৌভাগ্যবশত আমার সন্তানের কোন ক্ষতি হয়নি তখন।

আমি অনেক বলেছি এই বাসা বদলাতে কিন্তু আমার স্বামী রাজী হয়নি। এটা নিয়ে অনেক সমস্যা হয়েছে। ঐ বাসায় আমরা ভাড়া থাকি তাও। আপু, পড়ে যাবার পর মানসিকভাবে খুব স্ট্রেস গিয়েছে আমার। রাতে ঘুমাতে পারিনা কিন্তু এখানে কেউ বোঝেনি। উলটো আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। ওরা ভাবে আমি একা থাকতে চাই। আমার কাছে সব চেয়ে খারাপ লেগেছে আমার স্বামী তো অন্তত বোঝার কথা ছিলো কারণ সন্তানটা তাঁরও। এমনকি আমি ওর পরিবারের বিরুদ্ধে কোন কথা বললেও সে সাড়া দেয়না। চুপচাপ থাকে। আরেকটা ব্যাপার, আমি যদি ওর কাছে কিছু চাই সহজে দিতে চায়না। অনেক টালবাহানা করে। এমনকি সবসময় মাঝরাত করে বাড়ী ফিরে কিন্তু সে ড্রিংকস করেনা। বিয়ের অনেক আগে থেকেই নাকি ওর এই মাঝরাত করে বাড়িতে ফেরার অভ্যাস আছে। এ নিয়ে ওর সাথে অনেক ঝগড়া করেছি কিন্তু কোন লাভ হয়নি। পরিবারেও কেউ কিছু বলেনা আপু।
 শশুরবাড়িতে যতটুকু দায়িত্ববোধ থাকা দরকার আমি যতটা পারি করি, তাও যেন আমাকে কেউ পছন্দ করেনা। আমার স্বামী একটুও শেয়ারিং না। আমাকে কোনকিছুই বলেনা। আমি মানুষের কাছে শুনি এমনিও সে চাপা স্বভাবের। আপু ওকে আমি কিছুই বুঝাতে পারিনা। ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছু বললে কোন রেসপন্স করেনা। বলে তোমার টেনশন নিতে হবেনা। কিন্তু এত বড় পরিবারের আর্থিক সাহায্য করতে গয়ে কিছুই থাকেনা। ও আমার কোন কথাই শোনেনা এই ব্যাপারে। সবাই বলে বড় ভাই নাকি ব্যাবসায়ে লস করেছে তাই ফ্যামিলিতে কন্ট্রিবিউট করতে পারেনা কিন্তু আমার তা মনে হয়না, আপু। আমার স্বামী আমার তেমন কোন কথায় গুরুত্ব দেয়না। ও ভাবে আমার বয়স কম। আমি কিছুই বুঝিনা। এসব নিয়ে আমি খুব সমস্যায় আছি আপু। কী করবো বুঝতে পারছিনা। সবকিছু মেনে নেবার চেষ্টা করি কিন্তু ওরা সবাই খুব চালাকি করে। তখন খুব খারাপ লাগে।
আমাকেও তো ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে হবে আপু। কারণ আমার স্বামীর বয়স অনেক বেশি আর এখন আমার সন্তান হবে। কিন্তু ওকে কিছুতেই বুঝাতে পারিনা। ওর ভাব এমন যে ও প্রয়োজনে আমাকে ছেড়ে দেবে তাও পরিবারের বিরুদ্ধে যাবেনা। আর প্রতিরাত বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে বাসায় ফিরে। আমি কী করতে পারি আপু? এতকিছু মানিয়ে নিতে পারছিনা। বড় বোন হিসেবে আমাকে একটু পরামর্শ দিন আপু। এমন আরো অনেক সমস্যা আছে যা আর লিখিনি। আমাকে বলে দিন আপু, আমি কী করতে পারি?”

No comments:

Post a Comment

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates